ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বেপরোয়া রোহিঙ্গারা যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২৯ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে গত দুই বছর ধরে আন্ত:রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের সবচেয়ে কঠিন সংকট মোকাবেলা করছে সরকার। যার নাম ‘রোহিঙ্গা সংকট’। নিরাপত্তাজনিত শঙ্কায় রোহিঙ্গারা যেমন স্বভূমে ফিরতে রাজি নয়, তেমনি তাদের নানা অপকর্ম, যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। আর এতে যারপরনাই বিরক্ত দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারকরা। 

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ সংকটের ব্যাপক বিস্তার ঘটলেও সংকটটিতে বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়েছে আরও আগে, সেই ১৯৭৮ সাল থেকে। বর্তমানে যা মহীরুহ আকার ধারণ করেছে। রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে বেপরোয়া রোহিঙ্গাদের সামলাতে। 

দমন-পীড়ন, নির্যাতন ও বিতাড়নের পন্থায় সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে মিয়ানমার। যার মর্মান্তিক ও অমানবিক উদাহরণ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ও তার পরবর্তী সময়ের ঘটনা। সেই ২৫ আগস্ট থেকে এক মাসের মধ্যে পাঁচ লাখ এবং পরে আরও দুই লাখ, মোট সাত লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাতে আগেরসহ মোট ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং অবস্থান করছে। 

সবার ওপরে মানবতা। বাংলাদেশ তা প্রমাণ করেছে। রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রস্তাব ও অবস্থানের প্রতি জাতিসংঘসহ সারা বিশ্ব সমর্থন করেছে। এটি এখন আর মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নেই। শুধু মিয়ানমার-বাংলাদেশের ব্যাপারও নয়, এটি এখন একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। 

জাতিগত নিধন, গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওসহ এমন কোনও মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যা মিয়ানমার সেনাবাহিনী করেনি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক ঘটিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি সম্প্রতি তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ ছয়জন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ওইসব অপরাধের জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন। 

এদিকে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয়সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সব ফ্রন্টে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মিয়ানমার আগের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এলেও খুব সহজে যে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে, তেমন কোনও আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। মিয়ানমারের আন্তরিকতা ও আগ্রহ সম্পর্কে সবারই প্রশ্ন আছে। 

তবে নানান উদ্যোগে গত ২২ আগস্ট রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও তাদের অনাগ্রহের কারণে তা শুরু করা যায়নি। এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা। ব্যাপক প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের দেশে ফেরত যেতে চায়নি রোহিঙ্গারা। এর আগেও গত বছরের নভেম্বরে আরেক দফা প্রত্যাবাসনের কথা থাকলেও রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণে সে প্রচেষ্টাও ভেস্তে যায়। তারা বলছে, সেখানে ফেরার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। 

এমন অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আদৌ সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। এবার বেশি আশা ছিল। কারণ চীন অনেক বেশি আগ্রহ দেখিয়েছিল, মিয়ানমারও অনেক অ্যাকোমোডেশন নিয়ে এসেছিল।

তিনি বলেন, কিন্তু শেষ হল না কারণ এটা একটা প্রক্রিয়া। আজকে শুরু হয়নি, কিন্তু ভবিষ্যতে শুরু হতে পারে। এটা সব রোহিঙ্গা একসাথে যাবে তেমনটা না, কিন্তু শুরুটা আমরা করতে পারি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত যেতে অনাগ্রহের কারণ হলো বিশ্বাসের ঘাটতি। তারা বিশ্বাস করতে পারছে না যে, মিয়ানমার তাদের জন্য এখন নিরাপদ। মিয়ানমার তাদের নিরাপত্তা দেবে বা পুনর্বাসন দেবে তারা তা বিশ্বাস করতে পারছে না। আর এজন্যই তারা ফিরতে চাচ্ছে না। 

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের এই বিশ্বাসের ঘাটতি দূর করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব আছে। সব দেশকে নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা হববে। মিয়ানমার যদি সৎ হয় তবে তারা এই কমিশন গঠনে সহায়তা করবে। প্রয়োজনে তারা সাংবাদিকদের নিয়ে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি দেখাবে। যাতে করে এই বিশ্বাসের ঘাটতি দূর হয়। 

তাই সঙ্গত কারণেই সবাই বলছেন সমস্যাটির সমাধান সহজে হচ্ছে না। বাংলাদেশকে একটা নাতিদীর্ঘ সময় এ ১১ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা টানতে হতে পারে। সমাধানের পথ দীর্ঘ হলে এ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বর্তমানের মতো একই মাত্রায় অ্যাকটিভ রাখা আগামীতে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। 

অন্যদিকে ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে অর্ধেকই শিশু-কিশোর। এরা তো বড় হবে, হচ্ছেও। ক্ষোভ, হতাশা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার জায়গা থেকে এর স্বল্প একটা সংখ্যাকে ইতোমধ্যেই মাদক, সন্ত্রাস ও বিদ্রোহের পথ বেছে নিতে দেখা যাচ্ছে। যা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য ভীষণ বিপজ্জনক হয়ে দাড়াচ্ছে। 

অতিরিক্ত মানবকুলের চাপে কাটতে হচ্ছে পরিবেশ রক্ষাকারী পাহাড় ও গাছপালা। দূষিত হচ্ছে সেখানকার গোটা পরিবেশ। এমনকি মাদক ও সন্ত্রাসী কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে দিন দিন বেপরোয়া ও হিংস্র হয়ে উঠছে উখিয়া-টেকনাফ শিবিরের রোহিঙ্গারা। মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাদের অপরাধ প্রবণতা। 

রোহিঙ্গাদের মারমুখী আক্রমণ থেকে রেহাই মিলছে না কারোরই। তাদের অপরাধ কার্যক্রম এখন আর সীমাবদ্ধ নেই শুধু নিজ গোত্রের গণ্ডিতেই। ইতিমধ্যে তাদের রোষানলে পড়ে একাধিকবার লাঞ্ছিত হয়েছেন দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, বিদেশি পরিদর্শক দলের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সব থেকে চরম বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয়রা। 

গত ২০১৬ সালের ১২ মে কক্সবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশের আনসার ক্যাম্প থেকেও একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র লুট করেছিল। তাতে আনসার কমান্ডার আলী হোসেন নিহত হন। 

চলতি বছরের ১৬ মার্চ গভীর রাতে রোহিঙ্গাদের হামলার শিকার হয়েছেন কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জসহ পুলিশের একটি দল। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে রোহিঙ্গাদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করে। 

গত দুই বছরে আশ্রয় শিবিরগুলোতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘটেছে ৩৫টির বেশি খুনের ঘটনা। হত্যা, ধর্ষণ, মাদক পাচার, ডাকাতিসহ এমন কোনও অপরাধ নেই যা রোহিঙ্গারা করছে না। নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হচ্ছে খুনের মতো নৃশংস ঘটনা। সামান্য ছোট খাট বিষয়েই হিংস্র হয়ে ওঠে রোহিঙ্গারা।

স্থনীয় জন প্রতিনিধিরা জানান, রোহিঙ্গারা দিন দিন হিংস্র হয়ে উঠছে। প্রতি মুহূর্তে তাদের রূপ বদলে যাচ্ছে। শরণার্থী শিবিরসংলগ্ন এলাকাগুলোর স্থানীয়রা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করতে পারছে না। কোনও শাক-সবজি চাষ করতে পারছে না। সব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। ক্যাম্পে এত লোক, কাকে সন্দেহ করা যায়? 

এসব কারণে স্থানীয়রা কোনও প্রতিবাদ করতে গেলেই রোহিঙ্গারা সংঘবদ্ধ হয়ে তেড়ে আসে। স্থানীয় ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের ভয়ঙ্কর কার্যকলাপে স্থানীয় লোকজন সবসময় ভয়ে ও আতঙ্কে থাকে। 

সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ওমর ফারুক (৩০) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। হ্নীলার বাড়ি থেকে তাকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার সেলিমের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য আসে। তখন অন্যান্য মানবতাকামী মানুষের মত মোহাম্মদ ওমর ফারুক নামের ওই যুবক রোহিঙ্গাদের মুখে খাবার তুলে দিতে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু দুই বছর পর এসে সেই রোহিঙ্গাদের হাতেই তাকে খুন হতে হয়।

অবশ্য এর একদিন পরেই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়। নিহতরা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি বলে দাবি পুলিশের। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরী ২টি এলজি বন্দুক, ৯ রাউন্ড গুলি, ১২ রাউন্ড গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। 

এদিকে উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, রোহিঙ্গাদের ৩০টি আশ্রয় শিবির রয়েছে। এর মধ্যে উখিয়ায় ২৩ ও টেকনাফে ৭টি। যেখানে গত দুই বছরে রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও স্থানীয়দের সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় ৪ শতাধিক মামলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ২২টি অস্ত্র মামলায় ৩৯ জন, শতাধিক মাদক পাচার মামলায় ১৫২ জন, ১২টি ধর্ষণ মামলায় ২০, ১০টি বৈদেশিক আইনের মামলায় ১২, ৪টি অপহরণ মামলায় ২৫, ৫টি চোরাচালান মামলায় ১০, ২টি চুরি মামলায় ৩, ৬টি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ১৯, ২২টি হত্যা মামলায় ৬১ এবং অন্যান্য ৯৬টি মামলায় আরও ১৮২ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানায়, রোহিঙ্গাদের মানবতার খাতিরে এ দেশে ঠাঁই দেয়া হলেও তারা এখন আমাদের দেশের জন্য বিভিন্ন দিকে মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। উখিয়া, টেকনাফের প্রতিটি পাহাড় উগ্রবাদী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠনের ডেরায় পরিণত হয়েছে।

টেকনাফের হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক চিন্তা থেকে আশ্রয় দেয়া হলেও তারা এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি গত বছর স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইমলামকে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম গুলি করে হত্যা করে। পাশাপাশি নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়েছে রোহিঙ্গারা। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কিছু স্থানীয় চক্র। তাদের কারণে প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’ 

তবে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘উখিয়া-টেকনাফের সব রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড  হচ্ছে এটা ঠিক নয়। কয়েকটি শিবিরে কিছু ঘটনা ঘটাচ্ছে কিছু অসাধু রোহিঙ্গা চক্র। তাদের জন্য সব রোহিঙ্গার দুর্নাম হচ্ছে। তাদের আইনের আওতায় আনলে সব রোহিঙ্গা দুর্নাম থেকে বেঁচে যাবে।’ তবে তাদের সঙ্গে কিছু স্থানীয় লোকজনের জড়িত থাকার কথা জানান তারা।

এমন বেপরোয়া ও হিংস্র তৎপরতার কারণেই নিজদেশ থেকেই বিতাড়িত হতে হয় রোহিঙ্গাদের। আর মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়ে এখন কঠিন সংকটের মুখে বাংলাদেশ। যা সামনে আরও বাড়বে বৈ কমবে না। ভীষণ বেপরোয়া, বিপজ্জনক ও হিংস্র হয়ে ওঠা এসব রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর হাত থেকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার তো নয়ই, এমনকি চীন, ভারত কেউই নিরাপদ থাকতে পারবে না। এমনকি অনবরত হুমকির মধ্যে থাকবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারত ও চীনের সব স্বার্থও। 

যদিও সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গাটি হলো- রোহিঙ্গাকে সমস্যাটি এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তির জন্য এ অঞ্চলে প্রভাব বলয় বিস্তারে দাবার গুটিতে পরিণত হওয়ায় মিয়ানমার সরকার এক বৃহৎ পক্ষের অন্ধ সমর্থন পাচ্ছে। তাই এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সুদূরপ্রসারী চিন্তা এবং সংকটের ভবিষ্যৎ রূপরেখা সম্পর্কে আগাম বিচার বিশ্লেষণ করে যথোপযুক্ত ও কল্যাণকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এনএস/এএ