ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রাষ্ট্রয়াত্ত ৪ ব্যাংককে আর অর্থ বরাদ্দ নয়: অর্থমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রবিবার

রাষ্ট্রায়াত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণীকে সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো অর্থ বরাদ্দ (রিফাইন্যান্সিং) দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে আগামী সাত দিনের মধ্যে কর্মকৌশল জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে আলোচনা শেষে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।

প্রতি অর্থবছরেই মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংককে বরাদ্দ (রিফাইন্যান্সিং) দিয়ে আসছে সরকার। তবে সেই সুযোগ আর রাখা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোকে এখন থেকে আর রিফাইন্যান্সিং নয়। প্রতিবছর যে রিফাইন্যান্সিং করতাম লস (ঘাটতি) কভার করার জন্য, দ্যাট ইজ অফ (তা বন্ধ)। দ্যাট’স স্টোরি অব পাস্ট (এটা এখন থেকে অতীত)। আর কোনোদিন রিফাইন্যান্সিং হবে না।

তাদের অর্থ আয় করতে হবে। এ দেশের মানুষকে দেখাশোনা করেই তাদের বেতন নিতে হবে, যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকগুলোর জন্য বরাদ্দ আছে— এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, এ বছরের বাজেটে কোনো বরাদ্দ নেই।

ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, তিন বছর ধরে আমাদের যে ধারাবাহিক কার্যক্রম চলছে, তাতে আগামীতে জিডিপি আট শতাংশের নিচে নামবে না। তবে ব্যাংকগুলোকে সম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে হবে এবং বুঝে শুনে ঋণ দিতে হবে।

গত ছয় মাসে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এর আগে খেলাপি ঋণ কমানোর এক্সিট প্ল্যান বাস্তবায়ন না হওয়ায় খেলাপি ঋণ কমেনি। তবে সরকারি কার্যক্রম শুরু হলেই খেলাপি ঋণ কমে আসবে। এছাড়াও, তিন মাসের সময় দিয়ে সুদের হার কমিয়ে সিংগেল ডিজিটে আনার কথাও বলেন তিনি।
 
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, অনেকেই তারল্য সংকট নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু আমাদের তারল্যের পরিমাণ প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আমানত এবং ও দিক থেকেও আমাদের অবস্থান খুব ভালো।

আরকে/