ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সাভারে নকল পণ্য উৎপাদনের দায়ে ৪২ লাখ টাকা জরিমানা 

সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৪৬ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:৫৫ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রবিবার

সাভারে অনুমোদনবিহীন, নকল ও  নিবন্ধন ছাড়া পণ্য উৎপাদনের দায়ে উদয় টয়লেট্রিজ এন্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি কারখানাকে ৪২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাব-৪ এর ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় কারখানার মালামাল জব্দসহ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. লালন মিয়াকে এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের সাভারে হেমায়েতপুরের চলন্তিকা হাউজিংয়ের এলাকায় র‌্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, বিএসটিআই নিবন্ধনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কোন ধরনের অনুমোদনের কাগজপত্র নেই। তাছাড়াও বিভিন্ন নামী-দামী পণ্যের লোগোর আদল ব্যবহার করে নকল ও ভেজাল পণ্য তৈরি করে আসছিলো প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। 

এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটিতে একই ডিটারজেন্ট পাউডার ৭টি আলাদা মোড়কে প্যাকেটজাত করা হয়। এছাড়াও ডিটারজেন্টসহ যে ধরনের পণ্য উৎপাদন করে আসছিলো তা অত্যন্ত নিম্মমানের। মানুষ ও পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রতিষ্ঠানটিতে দক্ষ কোন জনবলও নেই। যেকোন ধরনের দূর্ঘটনা মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষপ্রাপ্ত কোন কারিগর ও শ্রমিকও পাওয়া যায়নি। এসব অপরাধে বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার আইনের দন্ডবিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে আর্থিক জরিমানা ও পাশাপাশি কারখানার মালামাল জব্দ করা হয়েছে। বেআইনী ভাবে পরিচালনার দায়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক জরিমানা সরকারী কোষাগারে প্রদান না করা হলে ওই পরিচালক আরও ৩ মাসের কারাদন্ড ভোগ করতে হবে বলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বলেন। 

তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানটির মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান। 

বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) মাঠ কর্মকর্তা রেজানুর রহমান সরকার বলেন, বিএসটিআইয়ের কোন অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে তারা লোগো ব্যবহার করছে। এই কারখানা প্রায় ১০ থেকে ১২ টি পণ্য অবৈধভাবে ব্যবহারজাত করার প্রমান পাওয়া গেছে। অত্র প্রতিষ্ঠানটির মালিক বিভিন্ন নামিদামী প্রতিষ্ঠানের আদলে মোড়ক ব্যবহার করে এসব পন্য বাজারজাত করে আসছিল। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে র‌্যাব-৪ এর বিভিন্ন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। 

এনএম