ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অসুস্থতা নিয়েই মশক নিধন কর্মসূচীতে মেয়র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪৯ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৬:৫১ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

ডেঙ্গু মোকাবেলায় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীকে উৎসাহ যোগাতে অসুস্থতা নিয়েই মশক নিধন কর্মসূচিতে উপস্থিত হন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় তিনি স্ট্রেচারে ভর দিয়ে হেঁটে হেঁটে এলাকাবাসীর খোঁজ নেন এবং পরিচ্ছন্নকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে তাজমহল রোডের কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে এডিস মশা নির্মূলে চিরুনি অভিযানে পরিচ্ছন্নকর্মীদের যোগ দেন তিনি।

মেয়র বলেন, ডাক্তার আমাকে হাঁটতে না করেছে পায়ে ব্যথা নিয়ে। পা সোজা করে রাখতে বলেছে। আজ আমার এখানে আসাটা শুধু ভালোবাসার কারণে। আমরা একজন আরেকজনকে ভালোবাসি। একজন আরেকজনকে সম্মান করি। আমাদের মশক নিধনকর্মী ও পরিচ্ছন্নকর্মীরাও মানুষ। আমাদের কাউন্সিলরও একজন মানুষ। আমিও একজন মানুষ। এখানে মানুষের থেকে কেউ বড় নই আমরা। দায়িত্ব যতদিন আছে, ততদিন থাকবো। কিন্তু আমরা যখন দায়িত্বে থাকবো না, তখন কিন্তু সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়াবো। 

বাসা-বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যেসব বাড়িতে এডিসের লার্ভা মিলছে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। আমাদের সিটি করপোরেশনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে আমরা স্বীকার করি। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, রোববার ১০ হাজার বাড়িতে যাওয়ার লক্ষ্য ছিল, কিন্তু আমরা গতকাল ৯ হাজার ৭১২ বাড়িতে গিয়েছি। ২৫৮টি বাড়িতে লার্ভা পেয়েছি। জনগণ সচেতন হলে এডিস মশা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

তিনি বলেন, যেকোনো এলাকার সোসাইটি, স্কুল, মাদরাসা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য। সবাই মিলে পরিষ্কার করলে আমার জন্য সুবিধা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মনসুর হোসেন, অঞ্চল-৫ এর নিবার্হী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী বাইন হীরা, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রতন প্রমুখ।

টিআই//