ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩১

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত, প্রতিবাদের ঝড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৯ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আসন্ন পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত করেছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া পার্লামেন্ট স্থগিত রাখতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। তাতে অনুমতি দিয়েও দিয়েছেন রানি।

৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার কথা ব্রিটেনের। তার আগে পার্লামেন্ট স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী বরিস বিরোধীদের মুখ বন্ধের কৌশল নিয়েছেন বলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশটিতে।

এর আগে বরিস জনসন বলেছিলেন, যে কোন মূল্যে ব্রেক্সিট হবেই। কিন্তু চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে বিরোধী এমপিরা বাধা দিতে পারেন এই আশঙ্কায় এরকম একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো।

বর্তমানে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে রানি স্কটল্যান্ডে রয়েছেন। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর আবেদনপত্র নিয়ে উড়ে যান হাউস লিডার জ্যাকব রিজ-মগ এবং চিফ হুইপ মার্ক স্পেনসার। রানি সেই আবেদনে সম্মতি দিয়ে দিয়েছেন। 

১০ ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রে জানা যায়, ১৪ অক্টোবর অর্থাৎ ব্রেক্সিটের ঠিক দু’সপ্তাহ আগে পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন রানি। ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর  কিছু ঘোষণাও থাকবে সেই ভাষণে। এর ফলে ব্রেক্সিট নিয়ে বিরোধীরা কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।

বরিস জনসনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টা আসলে সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। এটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে এক জঘন্য অপরাধ। পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদের কণ্ঠস্বর এভাবে রোধ করতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী। 

বিরোধী দলীয় নেতা লেবার পার্টির জেরেমি করবিন তার প্রতিক্রিয়ায় জানায়, পার্লামেন্ট স্থগিত মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের মুখের উপরে নো-ডিল ব্রেক্সিট ছুড়ে মারতে চান প্রধানমন্ত্রী। উনি যেটা চান, তা আটকাতে প্রয়োজনে অনাস্থা ভোট যাব। বরিসের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক।

স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা ইয়ান ব্ল্যাকফোর্ড বরিস জনসনকে একনায়কের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আইনিভাবে এই সিদ্ধান্তের মোকাবিলার করার কথাও বলেন তিনি।

বরিস জনসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জন মেজর আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

তবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই যে ব্রেক্সিট হচ্ছে তা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

এএইচ/