ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জাবিতে মশাল মিছিলে অংশ নেওয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীর মারধর!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৯ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চলমান দুর্নীতি, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য ঐ শিক্ষার্থীকে মারধর করেন ছাত্রলীগ কর্মী।

মারধরের ঘটনার বিচার দাবি করে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ পত্রও দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। 

ভুক্তভোগী সোহায়েব ইবনে মাসুদ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৮তম ব্যাচ ও আল বেরুনী হলের আবাসিক শিক্ষর্থী। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিলে অংশগ্রহণ শেষে হলে ফিরে যাই। ঐদিন গভীর রাতে আমার কাছে মিছিলে যোগ দেওয়ার কারণ জানতে চায় সাইফুর রহমান। দাবিগুলো যৌক্তিক তাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি এমনটি তাকে জানালে সাইফুর আমার দিকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারেন। বলেন, ‘দুর্নীতি হইলে দুর্নীতির তদন্ত হবে। তুই কেন মিছিলে গেছিস?’ এ সময় সে আমার জামার কলার ধরে বুকে আঘাত করে।’

জানা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি আল বেরুনী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারী। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ দেওয়ার সময় অভিযুক্ত সাইফুর রহমানকে হাতেনাতে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডি। পরে তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে প্রতিবেদন দেয় প্রক্টরিয়াল বডি। ঐ সুপারিশের প্রেক্ষিতে সাইফুর রহমানসহ ৪৭তম ব্যাচের ৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

তবে এমন ঘটনাই প্রথম নয় বলে বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সাইফুররের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘ওই ছেলেকে আমি চিনি না, ছাত্রলীগ করে কিনা তাও জানিনা। ছাত্রলীগ করুক বা না করুক অন্যায় করলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

আল বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমি মারধরের ঘটনা সম্পর্কে জানতাম না, মাত্র শুনলাম। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমি জেনেছি, যেহেতু এটা হলের আভ্যন্তরীণ বিষয় আমি হল প্রভোস্টকে জানাতে বলেছি। হল প্রভোস্ট আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করবো।’

এমএস/এসি