ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সরকারী অফিসে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২০ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার

একটি সরকারী অফিসে কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের সময়কার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অফিসটি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়। এ কার্যালয়েরই সাব রেজিস্ট্রার ও তার কিছু কর্মকচারী ঘুষ গ্রহণের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেটি ভাইরাল হয়। 

ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হলে ভিডিও ধারণ ও প্রচারকারীকে ভয়ভীতি দেখানোরও অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত ঘুষ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে। 

জানা যায়, সোহেল রানা যিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি তিনি গত ১৫ আগস্ট নিজ ফেইজবুক প্রফাইল থেকে সাব-রেজিস্ট্রারসহ তার কার্যালয়ের কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্যের একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যে ভিডিওতে সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস ও নকল নবিশ সুমনসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে দলিল গ্রহীতাদের কাছ থেকে সরাসরি ঘুষ নিতে দেখা যায়।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল গ্রহীতাদের কৌশলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়া গেলে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় এখন তদন্তে নেমেছেন জেলা রেজিস্ট্রার। বিষয়টির তদন্ত করছেন খোদ জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মঞ্জুরুল ইসলাম। 

জিস্ট্রার বলেন, ‘ভিডিও আমাদের নজরে আসার পর সুষ্ঠু তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।’

ভিডিওটি ফেইসবুকে পোস্ট করার পর তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে দাবি করে সোহেল রানা বলেন, ‘শাহজাদপুরবাসী ভবিষ্যতে যেন ঘুষ বাণিজ্যের শিকার না হন, সেজন্য ভিডিওটি ফেসবুকে দিয়েছি।’

তবে ভিডিও ধারণকারী ও প্রচারকারী সোহেল রানা চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী এমনটি দাবি করেন অভিযুক্ত সাব রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস। সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘সোহেল রানার বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও প্রতারণার ১০/১২টি মামলা রয়েছে বলে শুনেছি। আমার অফিসে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও সুবিধা না পেয়ে এ ধরনের ভিডিও প্রচার করেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ভিডিও নজরে আসার পর সুষ্ঠু তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মঞ্জুরুল ইসলাম। 

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন-

https://www.facebook.com/BanglaTribuneOnline/videos/357178308517881/

এমএস/এসি