ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২১ ১৪৩২

অবৈধ প্রবাসীদের আটককারী সেনা হয়ে গেলেন অবৈধ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৪ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর তালিকা থেকে বাদ পড়লেন সাবেক সেনাকর্মকর্তা। শনিবার সকালে প্রকাশিত তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।

কয়েকমাস আগেই অবৈধ প্রবাসী হওয়ার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় অবাক নন তিনি। মহম্মদ সানাউল্লাহ কে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, “যেহেতু আমার মামলাটি এখনও হাইকোর্টে বকেয়া রয়েছে, সেই কারণে আমি আশা করিনি যে, আমার নামটি তালিকায় থাকবে। বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে, আমি আত্মবিশ্বাসী, যে বিচার পাব”। 
শনিবার সকালে প্রকাশিত হওয়া এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েন ১৯ লক্ষের বেশী মানুষ, সরকারি পদক্ষেপ এড়াতে নাগরিকত্ত্বের প্রমাণ দিতে হবে তাদের।

তালিকায় রয়েছেন ৩.১১ কোটি মানুষ, কয়েকদশক ধরে এ অবৈধভাবে বসবাসকারীদের হঠাত করেই তৈরি করা হয় জাতীয় নাগরিকপঞ্জী। ১৯৫১ এর পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অসমে তৈরি করা হল জাতীয় নাগরিকপঞ্জী।

মে মাসে ফরেনার্স ট্রাইবুনালের রায়ে গ্রেফতার হন একসময়ে মনিপুর ও কাশ্মীরে লড়াই করা সানাউল্লাহ। ১২দিন তাকে আটকে রাখা হয়, পরে গুয়াহাটি হাইকোর্টের রায়ে ছাড়া পান তিনি। মামলাটি নিয়ে আদালতে এখনও লড়াই করছেন তিনি। এনডিটিভিকে তিনি বলেছিলেন, “৩০ বছরের সৈনিক হিসাবে, এটা খুবই দুঃখের। দেশের জন্য কাজ করার পর আমি এটা পেলাম। তবে আমি মনে করি আমার বিষয়টি চোখ খুলে দেবে, বিচার মিলবে”। 

তার কথায়, “আমি কখনই ভাবিনি যে, আমায় একজন বিদেশী ঘোষণা করা হবে, কারণ আমি একজন প্রকৃত ভারতীয়”।

সাবেক এই সেনা সদস্য বলেন, গত জুলাইয়ে প্রথম খসড়া তালিকা প্রকাশের পর, তার বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন তিনি। তার কথায়, “সেই সময় আমি বেঙ্গালুরুতে ছিলাম, এই ধরণের আমি কোনও নোটিশ পাইনি। সীমান্ত আধিকারিক, থানা এবং ফরেনার্স ট্রাইবুনালে কাছে, আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলি নিয়ে যেতে বলা হয়”।

সম্মানীয় একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে ২০১৭ এ অবসর নেন মহম্মদ সানাউল্লাহ, পরে অসম বর্ডার পুলিশে যোগ দেন তিনি...সেখানে অবৈধ প্রবাসীদের আটক করতেন তিনি। একই দফতর, তাকেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে।

এসি