ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

আসামী ধরতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে পেটালেন পুলিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩৬ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

আসামী ধরতে গিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাঁকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহত ছাত্রলীগ নেতা জহুরুলের বাড়ি পাঁচবিবির উঁচনা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম লুৎফর রহমান।রোববার বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উঁচনা মাদ্রাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত জহুরুলের বড়ভাই লাইজুর রহমান হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, রোববার বিকেল ৫টার দিকে উঁচনা দাখিল মাদ্রাসা মাঠে জহুরুল ফুটবল খেলতে যায়।এ সময় একজন সোর্সসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমিরুলের নেতৃত্বে ৫জন ওই এলাকা থেকে আব্দুল মজিদ নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করলে তাঁর স্বজনরা সমবেত হয়ে কান্নাকাটি করে। জহুরুল এ সময় তাদের দেখতে গেলে গোয়েন্দা পুলিশের দল নাম জিজ্ঞাসা করেই তাঁকে হেলমেট, বেল্ট ও হ্যান্ডকাপ দিয়ে দাঁতসহ দুই গালে বেদম মারধর করে। এতে তাঁর দাঁত আলাদা হয়ে যায়।পরে সেখান থেকে হেলমেট ও হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে হাটখোলায় যায়।

এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া হোসেন রাজার সুপারিশে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।পরে স্থানীয়রা জহুরুলকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা আধুনিক হাসপাতালের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর কেবিনে ভর্তি থাকা আহত ছাত্রলীগ নেতা জহুরুল এবং তাঁর স্বজনদের সাথে কথা বলে গোয়েন্দা পুলিশের অফিসে বক্তব্য নিতে যান কালের কণ্ঠ জেলা প্রতিনিধি আলমগীর চৌধূরী, একুশে টেলিভিশনের এসএম শফিকুল ইসলাম, প্রথম আলোর আক্কেলপুর প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, চ্যানেল ২৪ এর হারুনুর রশিদ, সময় টেলিভিশনের শাহিদুল ইসলাম সবুজ এবং এস এ টেলিভিশনের মোয়াজ্জেম হোসেন। 

এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নিতে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মমিনুল হক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবিরের দোতলা অফিসে যান। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ সুপার নীচে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শকের অফিস কক্ষে এসে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, আপনারা কি শুরু করেছেন।ছোট্ট একটা ঘটনাকে এত পেঁচাচ্ছেন কি জন্য? কি এমন ঘটনা ঘটেছে তাই দল বেঁধে আপনারা ওঠেপড়ে লেগেছেন। আপনারা কে কোথায় মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেন সবই আমার জানা আছে। আমিও দেখব কিভাবে আপনারা চলাফেরা করেন? 

এসময় সেখানে জয়পুরহাট পৌর মেয়র ও আ.লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান আকষ্মিকভাবে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর কথায় কোন পাত্তা না দিয়ে উল্টো তাঁকেও ধমক দিয়ে পুলিশ সুপার তাঁকে নিয়েই ওপরে চলে যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে বিকেল ৫টায় সাংবাদিকরা এক জরুরি সাধারণ সভা ডেকেছেন।
কেআই/