ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রোকেয়া হলে নিয়োগ বাণিজ্য তদন্ত কমিটি গঠন

ঢাবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ১১:৫০ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)রোকেয়া হলে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলে বিজ্ঞাপিত কতিপয় পদে সম্প্রতি জনবল নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামালকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. লিটন কুমার সাহা কমিটির সদস্য-সচিব এবং রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক মিসেস মনিরা বেগম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপতিতে জানানো হয়।

এর অাগে গত ২৫ জুলাই রোকেয়া হলে চারটি পদে কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন হল প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা। বিজ্ঞপ্তিতে অফিস সহায়ক পদে ১ জন, বাগানের মালী পদে ১ জন, নিরাপত্তা প্রহরী পদে ৩ জন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ৩১ জুলাই ছিল ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদগুলোতে আবেদনের শেষ দিন। ১ সেপ্টেম্বর এসব পদে আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর হলের কিছু অাবাসিক শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে বলেন,হলের অফিস সহায়ক, মালী ও প্রহরী পদে নিয়োগে ২১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) ইসরাত জাহান তন্বী, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সায়মা আক্তার প্রমি এবং রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম লিপি আখতার ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশা এসব টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা এই নিয়োগ বাণিজ্য সম্পর্কে অবহিত এবং তিনিও এই নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তারা।