ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ভারতের ভেতরে ঢুকে চীনের সেতু নির্মাণ, সীমান্তে উত্তেজনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪২ এএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ভারত-চীন সীমান্তের চাগলাগাম এলাকায় ভারতীয় ভূখন্ডের ৬০-৭০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করছে চীনের সেনাবাহিনী। অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি বিধায়কের এই দাবি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ফলে বর্তমানে ওই সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। খবর আনন্দবাজার।

রাজ্যের বিজেপি সভাপতি তথা অরুণাচল পূর্ব কেন্দ্রের এমপি টাপির গাও সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ার কাছে দাবি করেন, চাগলাগামের ডিমার নালার উপর একটি ঝুলন্ত সেতু নজরে এসেছে আদিবাসীদের। ঘন জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকার গাছ কেটে কাঠ চেরাই করে ওই সেতুটি তৈরি করেছে চীনা সেনাবাহিনী।

দিল্লির সংশ্লিষ্ট সব দফতরে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন টাপির গাও। ভারতীয় সেনাবাহিনী অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। 

চীন-অরুণাচল সীমান্ত ম্যাকমোহন লাইন নামে পরিচিত। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা ম্যাকমোহন লাইন থেকে চাগলাগামের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। চাগলাগাম থেকে আবার ডোইমুর নালার দূরত্ব ২৫-৩০ কিলোমিটার। ফলে টাপির গাওয়ের দাবি সত্যি হলে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৬০-৭০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে চীনা বাহিনী। দিল্লিতে বিষয়টি জানানোর পরই এ নিয়ে কার্যত তোলপাড় পড়ে যায়। ভারতীয় সেনাসহ কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ।

এমন ঘটনায় বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, টাপির গাওয়ের দাবি ঠিক না। এ ধরনের কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যেখানকার কথা বলা হয়েছে, সেটা ‘ফিশ টেল’ এলাকা। অন্যান্য কয়েকটি এলাকার মতো ওই এলাকাতেও সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে মতপার্থক্য রয়েছে। ডিমারু নালার ওপরে যে জায়গার কথা বলা হয়েছে, সেখানে এই ধরনের কোনো ব্রিজ সেনাবাহিনীর নজরে আসেনি।

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই এলাকা ঘন জঙ্গলে ঢাকা। নালা-ঝোরা ও পাহাড়ি চড়াই-উৎরাইয়ে ভরা। ওই এলাকায় হেঁটে ছাড়া অন্য কোনো যানবাহনে চলাফেরা করা সম্ভব নয়। যেহেতু সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তাই ভারত এবং চীন দুদেশের সেনা জওয়ানরাই বর্ষাকালে টহলদারির জন্য নালাগুলির ওপর অস্থায়ী ব্রিজ তৈরি করে। তবে এটা নিশ্চিত যে চীনের সেনা বা কোনো নাগরিকের স্থায়ী উপস্থিতি ওই এলাকায় পাওয়া যায়নি। তবু কড়া নজরদারি রয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।