ইয়েমেনে প্রায় দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মাসুল দিচ্ছে শিশুরা
প্রকাশিত : ১০:৩৬ এএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৩৬ এএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার
ইয়েমেনে প্রায় দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের চরম মাসুল দিতে হচ্ছে শিশুদের। ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার তারা। দেশটির ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব আর অপুষ্টিজনিত নানান রোগে প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারের বেশী শিশু। বাড়িঘর হারিয়ে সম্বলহীন হয়ে পড়েছে অনেকে। জাতিসংঘের অভিযোগ, ইয়েমেনের বিষয়ে বিশ্ববাসী উদাসীন।
ভয়াবহ অপুষ্টিতে থাকা এসব শিশু ইয়েমেনের দুই বছরের যুদ্ধের শিকার। খাদ্যাভাব আর প্রয়োজনীয় ওষধের অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অন্তত ৫ লাখ। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারের বেশী শিশু।
শিশুদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ছে তাদের বাবা-মা। চোখের সামনে বাচ্চার মৃত্যু দেখতে হচ্ছে অনেককে। হাসপাতালগুলোতেও নেই প্রয়োজনীয় ওষধ।
একসময়ের জণাকীর্ন এসব শহর এখন অতীত। রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধের ভয়াবহতা। দিনে একবার খাদ্য জোটা যেখানে ভাগ্যের বিষয় সেখানে শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করাতো চিন্তারও বাইরে। দেশটির প্রায় অর্ধেক জনগণ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। এদের সবাই টিকে থাকার অবলম্বন হারিয়ে ফেলেছে।
জাতিসংঘের অভিযোগ, ইয়েমেনের মানবিক পরিস্থিতি যখন ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে, তখন বিশ্ববাসীর যেনো সেদিকে নজরই নেই। আন্তর্জাতিক সহায়তার অভিযোগে দেশটিতে শিশুরা এখন ক্ষুদায় মারা যাচ্ছে। বিশ্ববাসী অন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ জাতিসংঘের।
এই বিশ্বসংস্থার হিসেবে ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত হুতি বিদ্রোহী ও সাবেক প্রেসিডেন্টের অনুসারীদের মধ্যকার যুদ্ধে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছে চার হাজারের বেশি লোক।
এদিকে মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর গেলো ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে আবার শুরু হয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা। এসব যুদ্ধে দেশ ছেড়েছে ৩০ লাখ মানুষ। দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ।