ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ট্রাম্পের শাসনামলে ইরান বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২০ এএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনার ক্ষেত্রে ইরান আগের চেয়ে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইন্ডি শেরম্যান।

ইরান তৃতীয় দফায় পরমাণু সমঝোতার আরও কিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার যে পদক্ষেপ নিয়েছে সে ব্যাপারে শেরম্যান উদ্বেগ প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেন।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সরকার সই করেছিল। ওই সমঝোতায় পৌঁছার দীর্ঘ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন শেরম্যান।

রোববার তিনি ওয়াশিংটনে এক বক্তব্যে বলেন, ইরান যেভাবে ধীরে ধীরে পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন থেকে সরে যাচ্ছে তাতে এক সময় এ সমঝোতা অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। তবে তিনি এও বলেন, ইরান এখন যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা থেকে যদিও ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে কিন্তু তারা পরমাণু তৎপরতার ক্ষেত্রে গবেষণা করতে গিয়ে এই সুযোগে নতুন নতুন প্রযুক্তি আয়ত্ব করতে পারে এবং এটিই উদ্বেগের বিষয়।

সাবেক মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র যদি বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের সবগুলো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করে দেয় তারপরও প্রযুক্তি আয়ত্বে থাকার কারণে তেহরান আবার পরমাণু স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সে সময় ওই সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ ও ইইউ ইরানকে পরমাণু সমঝোতায় অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা দেয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই এ সমঝোতায় ইরানকে যেসব আর্থিক সুবিধা দেয়ার কথা ছিল তা বাস্তবায়ন করবে।

কিন্তু এক বছরেও ইইউ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার পর গত ৮ মে ইরান আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে পরমাণু সমঝোতার কিছু ধারার বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে। একইসঙ্গে তেহরান ইইউকে ৬০ দিনের সময় বেধে দিয়ে জানায়, এ সময়ের মধ্যে সমঝোতা বাস্তবায়নে অপারগ হলে ইরান দ্বিতীয় দফায় আরও কিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন থেকে সরে আসবে। গত ৬ জুলাই ইরান সে হুমকি বাস্তবায়ন করে এবং তার ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় আরও কিছু প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যায় ইরান। ফলে পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের সময় স্থগিত রাখা বেশ কিছু পরমাণু তৎপরতা আবার শুরু করেছে তেহরান।

সূত্র: পার্সটুডে