ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এটিএম ও পপির জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৯ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৪৩ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান ও আরেক প্রিয়মুখ সাদিকা পারভিন পপির জন্মদিন আজ।

দুই প্রজন্মের এই দুই তারকাশিল্পীকে নিয়ে চ্যানেল আই আয়োজন করেছে ‘তারকাকথন’ বিশেষ পর্ব।

মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল আই স্টুডিও থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এ অনুষ্ঠানে পপি স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন আর এটিএম শামসুজ্জামান তার বাসভবন থেকে লাইভে যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।

চ্যানেল আই আয়োজিত ‘তারকাকথন’ বিশেষ পর্ব অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করবেন অনন্যা রুমা।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। এবার পালিত হবে তার ৭৮তম জন্মবার্ষিকী।

১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জীবনে এটিএমের বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটে। একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রবীণ এই অভিনেতা একাধারে কাহিনীকার, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবেও সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে, চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি ১০ সেপ্টেম্বর খুলনার শিববাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিনী এই নায়িকার আর্বিভাব ঘটে।

মুন্নুজান স্কুলে পড়াশোনাকালীন ১৯৯৫ সালে লাক্স আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী হিসেবে মিডিয়ায় তার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি শহীদুল হক খান পরিচালিত ‘নায়ক’ নাটকে চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন।

এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। দেখতে দেখতে চলচ্চিত্রে তার পথচলার বিশ বছর পেরিয়েছে। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি তিনবার। কুলি থেকে আজকের সোনা বন্ধু’তে তাঁর উপস্থিতি যেন এখনো সেই একইরকম। বর্তমানে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ছোটপর্দাতেও নিয়মিত অভিনয় করছেন পপি।

শুধু চলচ্চিত্রেই নয় বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে তার উপস্থিতি ছিলো একজন আকর্ষনীয় মডেল’রই মতো। ছোটপর্দায় মাঝে মাঝে যেসব নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন, সেখানেও তিনি হয়েছেন নন্দিত। তাই সংস্কৃতির পথে তার পথচলা ছিলো সবসময়ই নান্দনিক, প্রশংসনীয়। একজন মানুষ হিসেবে খুব সহজে আপন করে নেওয়ার মতোই একজন মানুষ পপি।