ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

আশুলিয়ায় দুই নারী ধর্ষণের শিকার, আটক ৩

সাভার সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

আশুলিয়ায় পৃথক স্থানে ২ পোশাক শ্রমিক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আশুলিয়া থানায় ভুক্তভোগীরা পৃথক দুটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই মামলার এজাহারভুক্ত তিনজনকে আটক করেছে।

গতকাল সোমবার জামগড়া এলাকার হিউন গার্মেন্টস সংলগ্ন জামান ভুঁইয়ার বাড়ি ও গাজীরচট উত্তরপাড়ার ফজল হক ভুঁইয়ার মালিকানাধীন একটি ভবনের ২য় তলায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নারীদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ফজিকুল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পোশাক শ্রমিক নারীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে উত্তরগাজীরচট এলাকার তহিরুল ভুঁইয়ার গাড়ির চালক শারফিন (৩০) ফজল হক একটি ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে ডেকে নেয়। এসময় ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষিতার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী কক্ষ থেকে নাজমুল ইসলাম মানিক এগিয়ে এসে ধর্ষণের বিষয়টি তহিরুল ইসলামকে অবহিত করেন। এসময় তহিরুল ইসলাম ধর্ষিতা নারী ও মানিককে বিচার করার কথা বলে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। বাড়ির মালিক তহিরুল ধর্ষণের ঘটনার একমাত্র স্বাক্ষী মানিককে মারপিট করে একটি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষিতাকে এই ঘটনা থানা পুলিশসহ অন্যকাউকে না বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।

ধর্ষিতার বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, গত ২৮ আগস্ট রাত ১২টার দিকে ওই নারীকে তহিরুল ভুঁইয়া তার নিজ বাড়ির একটি কক্ষে বিনা ভাড়ায় থাকার সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে তাকে ফুসলাইয়া ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর আরও ৭/৮ বার তাকে একইভাবে ধর্ষণ করেছে তহিরুল। ধর্ষিতা সোমবার রাতে থানায় এসে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে তহিরুলের গাড়ির চালক ধর্ষক মো. শারফিনকে (৩০) আটক করা হয়। সে তহিরুল ভুঁইয়ার গাড়ির চালক ও বাড়ির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার গানপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।

এদিকে জামগড়া এলাকার গনধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ইন্টিলিজেন্স তসলিম উদ্দিন বলেন, সোমবার সকালে পোশাক শ্রমিক নারী তার কর্মস্থলে যাওয়ার সময় বখাটে কাইয়ুম ও তুহিন তার মুখে রুমাল চেপে অজ্ঞান করে রিক্সায় তুলে ভুইয়াপাড়ার জামান ভুইয়ার বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সকাল ১০টার দিকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় জামগড়া হিউন গার্মেন্টসের নিকট রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর ধর্ষিতা থানায় এসে ঘটনার সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে গনধর্ষণের সঙ্গে জড়িত দুই বখাটেকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- শেরপুর জেলার সদর থানার সাপমাড়ি গ্রামের মৃত মুরাদ হোসেনের ছেলে কাইয়ূম(২৬), ও পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার মুসোরিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে তুহিন আলম (৪৪)।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষক তুহিনের ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষেই ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগী নারীদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আটককৃতদের পুলিশি জিজ্ঞাসাবদের জন্য সময় চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।