ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

দেশে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ২ লাখ ৩৫ হাজার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৭ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেইজ তৈরি করে বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকার বাইরে যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকেন তা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এটি সম্পন্ন হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ সম্ভব হবে। বর্তমানে দেশে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৭ জন। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এতথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য রত্না আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। 

মন্ত্রী আরো জানান, ১৯৭১ সালে ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের সনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, এ তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে মোট ৫ হাজার ৭৯৫ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম ঠিকানা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে। এরমধ্যে শহীদ বেসামরিক গেজেটভুক্ত ২ হাজার ৯২২ জন, স্বশস্ত্র বাহিনী শহীদ ১ হাজার ৬২৮, শহীদ বিজিবি  ৮৩২ জন এবং শহীদ পুলিশ ৪১৩ জন।

সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী জানান, দেশে খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুইজন। তবে গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩২২ জন।

সরকার দলীয় সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধীস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে ৪৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার সমাধীস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে। তিনি জানান, ৪৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে  সারা দেশে ২৮১টি বধ্যভ‚মি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অনুক‚লে ৭০ দশমিক ৪৬ একর জমি ও প্রধান কার্যালয়সহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান আছে। এরমধ্যে ঢাকায় ২৭ দশমিক ১৭ একর, গাজীপুরে ৫ দশমিক ৫৫ একর, নারায়ণগঞ্জে ৪ দশমিক ৬৪ একর এবং চট্টগ্রামে ৩৩ একর জমি রয়েছে। 

আরকে//