ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অক্টোবরে বসছে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্যের প্রদর্শনী  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৩ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

দেশে প্রথমবারের মতো প্রযুক্তিপণ্যের পসরা নিয়ে  শুরু হচ্ছে প্রদর্শনী। ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯’ শিরোনামের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৪ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মেলা আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এসময় জানানো হয়, প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করছে আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।

সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর বিভিন্ন আয়োজন তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক হোসনে আরা বেগম, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক মজিবুল হক ও বিসিএস সভাপতি মো. শহিদ-উল-মুনীর।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশীয় প্রযুক্তিপণ্যকে এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বর্তমানে আমাদের দেশে তৈরি বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। যারা হোমগ্রাউন্ড সল্যুশন পণ্য তৈরি করছে, তাদের আমরা ফান্ড দিতে পারি, হাইটেক পার্কে জায়গা দিতে পারি।

জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, মেড ইন বাংলাদেশ’ মোবাইল কিন্তু খুব কমসংখ্যক মানুষই ব্যবহার করে। আমদানি শুল্ক কমানোয় দেশে স্মার্টফোনের অ্যাসেম্বলিং শুরু হয়েছে। স্যামসাংয়েরও দুই থেকে তিন লাখ মোবাইল অ্যাসেম্বলিং হচ্ছে দেশেই। ১৭ শতাংশ বাজার এখন দেশীয় মোবাইলের দখলে। তারপরও এখনো চার কোটি মোবাইল আমদানি করতে হচ্ছে আমাদের।

পলক বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ড (বিআইজি) গঠন করছি, যেখান থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের ১০ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা একশটি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান হাতে নিয়েছি। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

এসময় বাংলাদেশে রোবটিক্সের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সব কাজ রোবট করবে, বিষয়টি এমন নয়। রোবটিক্স খাতে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডিজাইনিং, ইলেকট্রনিকস, আইওটি— সবই লাগে। ফলে দেশে রোবটের প্রসার ঘটলেও অনেকের কর্মসংস্থান হবে, সবাই বেকার হয়ে যাবে না।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, আমরা সবাই মেড ইন বাংলাদেশের পক্ষে। যে এক্সপো হবে, সেখানে শুধু বাংলাদেশের পণ্যই থাকবে— এটাই আমাদের লক্ষ্য।

আয়োজকরা জানান, মেড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে শুরু হতে যাওয়া এই প্রদর্শনীতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পণ্য প্রদর্শন করা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় ঢুকতে হলে অনলাইনে বা প্রদর্শনীস্থলে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করতে হবে, তবে এর জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।

আরকে/