ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা গ্রেফতার চেষ্টার প্রতিবাদে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম

ঢাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৯:১৭ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার

সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত নায়েক শেখ নূরুল ইসলামকে গ্রেফতার করার চেষ্টার জন্য  সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

দাবি মানার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দাবি না মানা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সহ সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে জামাল উদ্দীন বলেন, 'অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, গত ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত নায়েক শেখ নুরুল ইসলামকে কালীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মোস্তফা শাহীন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা- বিরোধীদের মদদে জনসম্মুখে পুলিশকে দিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে জনগণের বিক্ষোভের কারণে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ইউএনও ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পরে স্থানীয় উপজেলা ও জেলার মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ জানানোর পর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং ইউএনও প্রতিবাদকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকিপ্রদান এবং হেনস্তা করে যাচ্ছেন। 

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কালীগঞ্জ থানার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনসম্মুখে এভাবে প্রশাসনের হাতে অপমানিত-লাঞ্চিত হতে হবে এটা অবিশ্বাস্য। যাঁদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা লাল-সবুজের পতাকা তাঁদেরকে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরের দোসররা অপমান করবে- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কখনোই এটা মেনে নিবে না। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়ার পরেও এর কোন বিচার না হওয়ায় জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এই ঘটনার দায়ভার এড়াতে পারেন না। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার জোড়  দাবি জানাচ্ছে।'

আরকে/