ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫২ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন দিরহাম) বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা। আগামীকাল রোববার দুবাইয়ের কনরাড হোটেলে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরমের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম এ তথ্য জানিয়েছে। 

ফোরামের তথ্য অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ধারাকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিন’শ এর বেশি সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তারা দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নিবেন। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী বাংলাদেশী। সেখানে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছে ।  

বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় আয়োজনে মূল বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ’র (বিএইচটিপিএ) কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ২০ সদস্যের সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন।

বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিনিয়োগ এজেন্সি (আইপিএ) হলো-বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ’র (বিএইচটিপিএ)। প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশী পেশাদার ও উদ্যোক্তা ভিত্তিক বেসরকারী খাতের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত উপসাগরীয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে। 

প্রায় ২০টি নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামে সামনে উপস্থাপন করা হবে। যেখানে বিনিয়োগকারীরা জনাব সালমান এফ রহমান ও সফররত বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধি দলের সাথে তাদের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করবেন।

২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে রয়েছে যা পরবর্তী কয়েক বছরে অর্থনীতিকে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে। যা বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতিতে পরিণত করবে। ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বাংলাদেশের প্রচুর দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন যা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিসিসি ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রধান উৎস হতে পারে। দেশের ভবিষ্যত অর্থনীতি গঠনে সহায়তা করতে এ বিনিয়োগের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 
 
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ‘সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) গ্রহণে বাংলাদেশ সব সময়ের থেকে এখন আরও বেশি স্বাগত জানায়। গত বছরের যা ৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তিন দশমিক ৬১ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।’ 

‘আমরা সব সময় চীন, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় ধরণের বিনিয়োগ দেখে আসছি। এখন আমরা বিশ্বাস করি জিসিসি ভুক্ত দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়, অপারেশনস এবং উচ্চতর রিটার্নের সুবিধা নেয়া উচিত।’ 
 
‘যেহেতু বাংলাদেশে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ মধ্যআয়ে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে ফলে অভ্যন্তরীন খরচ ও ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে।’

“আমরা বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাই-টেক পার্ক উন্নয়ন করেছি। যাতে করে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সর্বনিম্ন শ্রম ব্যয় ও খুব কম অপারেশনাল ব্যয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উপসাগরীয় দেশ থেকে আসা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সুযোগসমূহ গ্রহণ করা উচিত।’’

শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের জ্বালানি, বন্দর, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। তার সাথে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এই বছর সম্পূর্ণ নতুন স্তরে পৌঁছাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবছর ফেব্রুয়ারীতে তিন দিনের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে একটি বন্দর স্থাপনা, শিল্প উদ্যান, সরবরাহ ও একটি তরল প্রকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। 

এছাড়াও আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মুহাম্মাদ বিন জায়েদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আলোচনা করেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুবাইয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে এইসব নথির স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। দুবাই সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধিন সরকারী বেসরকারি অংশীদারি সংস্থা (পিপিপি) প্রথম সমঝতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন যেখানে বাংলাদেশে একটি নৌবন্দর, স্থল বন্দর এবং একটি শিল্প পার্ক নির্মাণের উল্লেখ রয়েছে। ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলাইমান এবং বাংলাদেশ শিপিং সেক্রেটারি এম আব্দুস সামাদ নথিতে স্বাক্ষর করেন।

দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয় এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (ইএনওসি) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে। এই চুক্তি অনুযায়ী দুবাই সরকার দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ করবে এবং পায়রা বন্দরে একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রি নাসরুল হামিদ এবং ইএনওসি গ্রুপের সিইও সাইফ হুমাইদ আল ফালাসি নিজ নিজ দলের পক্ষে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন। 

ইএনওসি পায়রা বন্দরে ৩০০ একর জমিও চেয়েছে যেন সেখানে তারা এলএনজি টার্মিনাল গড়ে তুলতে পারে যা বাংলাদেশের জ্বালানী সুরক্ষাকে ত্বরান্বিত করবে। তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয় শেখ আহমেদ ডালমক আল মাকতউম এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে। এই সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য ছিল দুই ধাপে একটি সমন্বিত ৮০০-১০০০ মেগাওয়াটের এলএনজি পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন যেখানে ১০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার পাওয়ার প্লান্ট থাকবে। শেখ আহমেদ ডালমক আল মাকতউম এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ নিজ নিজ পক্ষের হয়ে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন।

চতুর্থ সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয় শেখ আহমেদ ডালমক আল মাকতউম এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মধ্যে। এর উদ্দেশ্য ছিল মাতারবাড়িতে একটি বিসেস অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা। তারা এই জন্য ৩০০ একর জমি চায় যেন সেখানে একটি কোম্পানি স্থাপন করে বিনিয়োগ করা যায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আলমাদেন এমিরেটস ফরচুন পাওয়ার এবং বাংলাদেশের ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রাথমিকভাবে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করে যেখানে আরব ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (আইডা) ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি সোলার প্লান্ট স্থাপন করা হবে। 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের আশীর্বাদপুষ্ট আইডা তাদের নীতি অনুযায়ী উপমহাদেশ, মিনা ও আফ্রিকায় মানব উন্নয়ন, শক্তি, অবকাঠামো, কৃষি এবং প্রযুক্তি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উন্মুক্ত প্রকল্প পরিচালনা করে থাকে। 

৬-৮ বছরের মধ্যে আমরা এই সৌর উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখতে পারবো যেখানে প্রায় ১৪ মিলিয়ন সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে এবং এই প্লান্ট হতে ৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। বাংলাদেশে এই খাতে এটাই এই পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।  এই প্রকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনবে। অপরদিকে এই প্রকল্পের অধীনে পাওয়ার প্লান্ট ও প্রস্তাবিত ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌর সুবিধা ব্যবস্থাপনার জন্য অনেক চাকরীর সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

এই প্রকল্পটি ২০৩০ সাল নাগাদ সর্বোচ্চ ক্ষমতায় পৌঁছাবে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে এটি হবে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ‘মাস্টার প্লান্ট-২০১৬’ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস হতে ৩.৬ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বলেন, “এই বিনিয়োগ বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আমিরাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন করবে এবং দুই দেশের যৌথ অংশীদারিত্ব অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো গভীর করবে।”  তিনি আরো বলেন,“গতবছর বাংলাদেশের অর্থনীতি ৭.৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং আমরা আশা করছি এই বছর নাগাদ তা ৮.৩ শতাংশে পৌঁছাবে। এটা বাংলাদেশকে পৃথিবীতে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির দেশে পরিণত করবে এবং এটা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও লাভবান হবে বলে আমি আশা করি। এটা খুবই উৎসাহজনক যে এই দুই দেশের সম্পর্ক একদম সঠিক দিকে পরিচালিত হচ্ছে এবং একে অপরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।”

বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের লক্ষ্য হচ্ছে, সরকারী নীতি নির্ধারক, বেসরকারি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়িক মহলের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করা যেন তা বাংলাদেশসহ জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের আরো একটি লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ ও জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসার ঘটানো। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী মহলকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়ার সুযোগ করে দেয়। 

বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম এই নেটওয়ার্কে আরো বিনিয়োগকারী ও প্রকল্প অধিকারীদের নিয়ে আসতে চায় যেন তা থেকে ব্যবসায়িক চুক্তির মাধ্যমে উভয়েই লাভবান হয়।

বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের সদস্য ও একজন বিনিয়োগ পরামর্শদাতা শেখ আব্দুল কারিম বলেন, “ একটি বেসরকারি পরামর্শক দল হিসেবে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম বাংলাদেশী প্রকল্প অধিকারী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দূরত্ব ঘোচাতে সদা প্রস্তুত রয়েছে। এটা সরকারী খাতে বিভিন্ন সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও দূরত্ব দূর করে সকল ধরনের বিনিয়োগ উদ্যোগকে সহায়তা দিতে চায়।”

বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম
বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম বাংলাদেশের অর্থনীতিকে লক্ষ্য করে গড়ে তোলা একটি বেসরকারি উল্লেখযোগ্য সংগঠন যা বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। 

বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের লক্ষ্য হচ্ছে, সরকারী নীতি নির্ধারক, বেসরকারি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়িক মহলের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করা যেন তা বাংলাদেশসহ জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশ সরকার দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামও সেখানে সংযুক্ত হয়ে দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যেন তা দেশের অর্থনীতিকে অর্থবহ, সর্বব্যাপী ও দ্রুতগতি প্রবৃদ্ধির করতে পারে। এরফলে শুধু রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে না বরং অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

প্রবৃদ্ধির সুযোগ যাচাই করে এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশী ব্যবসায়িক মহলের সংস্পর্শে এনে সুসম্পর্ক ও পারস্পারিক লাভের পরিবেশ গড়ে বাংলাদেশকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরার একটি সুদীর্ঘ পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের।

 আরকে/