খাগড়াছড়িতেও পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিলো
প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১২:৫৭ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ রবিবার
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিলো পার্বত্য জনপদ খাগড়াছড়িতেও। স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দেন পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। এ’সময় শত্র“দের নির্যাতনের শিকার হন অনেক নারী ও শিশু।
৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় খাগড়াছড়ি, মহালছড়ি, রামগড় ও মানিকছড়িসহ বিভিন্নস্থানে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাধারণ মানুষ। এসব জায়গায় সম্মুখযুদ্ধে পাক সেনাদের ঘায়েল করে মুক্তিযোদ্ধারা।
চিত্তরঞ্জন চাকমা, ইপিআর সদস্য রমনী রঞ্জন চাকমা, গোরাঙ্গ দেওয়ান হেডম্যান ও সব্যসাচী চাকমাসহ ১২৩ জনের নামের হিটলিষ্ট পাকসেনাদের কাছে দিয়েছিল স্থানীয় রাজাকাররা। তাদের তেলেন তাংগায় নিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়।
মহালছড়িতে তৎকালীন সার্কেল অফিসারের বাসায় নারীদের ধরে নিয়ে অত্যাচার চালাতো পাকিস্তানি হায়েনারা। সাইন্দাউ মারমা, লাম্রাসাং মারমাসহ বেশ কয়েকজন বিরঙ্গনা নির্যাতনের জলন্ত সাক্ষী। তাদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন, আজো তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছিলেন খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চিফ রাজা মংপ্র“ সাইনসহ স্থানীয়য় অনেক পাহাড়ী।
দেশের মাটি শত্র“মক্ত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার গৌরবময় ইতিহাস স্মরণীয় হয়ে আছে পাহাড়ী জনপদে।