ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

সাকিবদের হারিয়ে আফগানদের বিশ্বরেকর্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৬ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১১:২৪ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়েই বড় আত্মবিশ্বাস পায় আফগানিস্তান। রোববার সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষেও সহজ জয় তুলে নেয় রশিদবাহিনী। যে জয়ের মধ্যদিয়েই আফগানরা গড়ে ফেলে নতুন এক বিশ্বরেকর্ড।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়ের নতুন এক বিশ্বরেকর্ড গড়ল আফগানিস্তান। ‘নতুন’ বলতে হচ্ছে কারণ, আগের রেকর্ডটাও যে এই আফগানদেরই দখলে।

গত ২০১৬-১৭ মৌসুমে টানা ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের পথে পাকিস্তানের (টানা ৯ ম্যাচ) রেকর্ড ভেঙে দেয় আফগানরা। আর আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশকে হারিয়ে নিজেদের সেই রেকর্ডটাই ভেঙে দিয়ে ২০১৮-১৯ মৌসুমেও নতুন এক রেকর্ড গড়ল আফগান যোদ্ধারা। কেননা, আগের দিনই যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১১তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের স্বাদ নিয়েছে রশিদ-নবী-নজিবুল্লাহরা।

এদিন ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ যেন মোক্ষম জবাব প্রথম বলেই উইকেট হারানো আফগানদের। সেই ধারাবাকিতয়ায় ৩২ রানেই ৪ উইকেট খোয়ায় টাইগাররা। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাব্বিরের বিদায়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। যার ষোলকলা পূর্ণ হয় আফিফ ও মোসাদ্দেকের আউটের মধ্যদিয়ে। 

এর আগে ওপেনিংয়ে নামা লিটন দাস এদিনও ব্যর্থ হন। মুজিবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শূন্য রানেই। আর ৩ বল খেলা মুশফিক ফেরেন একটা চার মেরেই। এদিন প্রথমবারের মত ওপেনিংয়ে নামা মুশফিকও বোল্ড হয়ে ফিরলে ১১ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। 

আর ১৫ রানে সাজঘরে ফিরে দলকে বিপদেই ফেলেন দলপতি সাকিব। মাঝে শূন্য রানে আউট হন সৌম্য। পরে মাহমুদউল্লাহ (৪৫) ও সাব্বির রহমান (২৪) জুটি বেঁধে বিপদ সামলে নিলেও দ্রুত এ দুজনকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আফগানরা। তারপরও সমর্থকরা ভরসা নিয়ে আশায় বুক বাঁধেন। কিন্তু এবার আর উদ্ধার করতে পারলেন না আফিফ ও মোসাদ্দেক।

আজ আর তেমন কিছু করতে পারেননি প্রথম জয়ের নায়ক আফিফ হোসেন। ১৪ বলে ১৬ রান করে আউট হন দুই চার হাঁকিয়েই। আর মোসাদ্দেক ফেরেন ১২ রান করে। শেষ দিকে মুস্তাফিজ এসে চার-ছয় হাঁকালেও তাতে কেবল হারের ব্যবধানই কমে কিছুটা। দুটি চার আর এক ছয়ে নিজের সর্বোচ্চ ১৫ রান করে আউট হন মুস্তাফিজ। যাতে ১৯ ওভার পাঁচ বলে ১৩৯ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর ২৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন রশিদবাহিনী।  

বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামান আফগান স্পিনাররাই। বিশেষ করে মুজিবুর রহমান। যিনি একাই মাত্র ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। যা তার ক্যারিয়ার সেরা। অন্যদিকে, দলপতি রশিদ খান, ফরিদ আহমেদ ও গুলবাদিন নায়িব নেন ২টি করে উইকেট।   

তার আগে টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করে আফগানিস্তান। সাইফুদ্দিন-সাকিবের জোড়া আঘাতে ৪০ রানেই ৪ উইকেট হারালেও মোহাম্মদ নবীর তাণ্ডব ছড়ানো ব্যাটিংয়ে ১৬৪ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা। সাইফুদ্দিন চার উইকেট নিলেও ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে নবী করেন ৮৪ রান।

এদিন দুই ছয় আর তিন চারে ৪০ করা আসগর আফগান সাইফুদ্দিনের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরলেও সাত ছক্কা আর তিন চারে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচ সেরা মোহাম্মদ নবী। যদিও শেষ বলে তাকে আউট করার সুবর্ণ সুযোগ পান মুস্তাফিজ। কিন্তু ক্যাচ ধরে রাখতে পারেননি দ্য ফিজ। যাতে ৬ উইকেট হারিয়েই ১৬৪ তে থামে আফগান ইনিংস।

এর আগে গুরবাজ শূন্য এবং জাজাই ১, তারাকাই ১১ এবং জাদরান ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শুরুতে দুর্দান্ত বোলিং করলেও মাঝে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সাইফ ৩৩ রানে ৪টি উইকেট পেলেও উইকেটলেস থাকেন মুস্তাফিজ ও তাইজুল। তবে সাকিব দুটি উইকেট তুলে নেন। 

এনএস/