ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আসামের পর এনআরসি হচ্ছে হরিয়ানাতেও!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

আসামের পর এবার ভারতের আরেক রাজ্য হরিয়ানাতেও এনআরসি করতে চায় রাজ্যটির সরকার। গত রোববার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। এমনকি কবে নাগাদ এনআরসি হবে সে ব্যাপারেও মুখ খোলেননি তিনি।

আগামী অক্টোবরেই হরিয়ানায় নির্বাচন বিধানসভা। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই দলীয় কর্মসূচী 'মহা সম্পর্ক অভিযান'-এ যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পালন করা মনোহরলাল খট্টর। এ কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য পূরণে এদিন কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। 

যাদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পাঁচকুলায় অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এস ভল্লা এবং প্রাক্তন নৌ সেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা। 

এদিন পাঁচকুলায় ১৬নং সেক্টরে ভল্লার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে খট্টর বলেন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সভাপতিত্ব ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ভল্লা। এখন তিনি এনআরসি নিয়ে কাজ করছেন। আমিও তাকে বলেছি যে, আমরা এখানে এনআরসি করব এবং কীভাবে তা করা যায়, সে ব্যাপারে ওর সাহায্যও চেয়েছি। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন হরিয়ানার একটি আইন কমিশন থাকা উচিত। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখব এবং রাজ্যের মানুষ যদি তার দ্বারা উপকৃত হন, তাহলে আমরা রাজ্যে আইন কমিশন স্থাপনও করব।

এ বিষয়ে বিচারপতি ভল্লা বলেছেন, হ্যাঁ, আমি দুটি বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছি- হরিয়ানায় এনআরসি এবং আইন কমিশন। এখন শুধু আসামেই এনআরসি রয়েছে। ফলে, যদি মুখ্যমন্ত্রী চান তাহলে হরিয়ানাতেও এনআরসি হতে পারে। রাজ্যের খাঁটি বাসিন্দাদের একটি কার্ড দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত এমনটাই কথা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামিকালই আদর্শ আচরণবিধি লাগু করা উচিত। তাহলে কেউ আর এ নিয়ে কাজ করতে পারবে না। কিন্তু বিজেপি যদি ফের ক্ষমতায় আসে, তাহলে এ বিষয়টি ফের সামনে আসতে পারে। তবে আগেভাগে কিছু বলা উচিত নয়। কিন্তু মানুষ যাতে সমস্যার সম্মুখীন না হন, সে জন্য হরিয়ানায় এনআরসি লাগু করা ওর ইচ্ছা। এটা আধার কার্ডের মতই একটা কার্ড হবে, কিন্তু সেটা আলাদা একটা কার্ড।

পরে এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী খট্টর বলেছেন, সরকার হরিয়ানার বাসিন্দাদের পরিবারভিত্তিক আইডি কার্ড বিতরণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই চালু করেছে। রাজ্যে এনআরসি লাগু করার সময়ে ওই ডেটাবেজই ব্যবহার করা হবে। সূত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এনএস/