ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ফাইনালের আগেই রশিদদের হারাতে চান সাকিব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৭ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে আগের দুই ম্যাচের একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সে দুটি ম্যাচের একটিতেও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি টাইগাররা। তাইতো ফের জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে হাসি ফোটেনি অধিনায়ক সাকিবের মুখে। কিন্তু অনায়াস জয় তুলে নেয়ার পরই সাকিবের মুখে দেখা গেল সেই স্বভাবজাত হাসি, কেননা দল যে ফিরেছে সেই প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সেই।

ফাইনালে যাওয়ার জন্য না হলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়টা যেমন প্রত্যাশিত ছিল, বুধবার রাতে চট্টগ্রামে তেমনটাই করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে দারুণ ব্যাটিং করে বোর্ডে তুলেছে ১৭৫ রান। যা তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। বলা ভালো, শুরুতেই ছিটকে পড়ে দলটি। 

ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি, ৫৬ রান তুলতেই। যাতে পুরো অবদান ছিল বোলারদের। এদিন ফিল্ডাররাও ছিলেন ক্ষিপ্র। জয়ের পর সাকিব অনেকটা সন্তুষ্ট হলেও বাংলাদেশের ইনিংস নিয়েই কিছুটা চিন্তা ভর করেছিল অধিনায়কের মাথায়। শেষ পাঁচ ওভারে যে সেভাবে রান তুলতে পারেনি দল। কেননা ওই সময় ৪ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে মাত্র ৪১ রান। তবে অধিনায়কের মন থেকে সব দুশ্চিন্তা দূর করেছেন দলের বোলাররাই।

বোলারদের প্রাপ্য কৃতিত্বটা দিতে তাই কার্পণ্য করেননি সাকিব। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশামতো শেষ করতে পারিনি। তবে বোলাররা দুর্দান্ত ছিল, ফিল্ডাররাও। এটা (ফিল্ডিং) পাঁচ বোলারকেই সহায়তা করেছে, কারণ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বোলারদের ম্যাচ জেতাতে খুব বেশি দেখা যায় না।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা জয় নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। ফাইনালে রশিদ খানের দলেরই মুখোমুখি হতে হবে সাকিবদের। তার আগে গ্রুপপর্বে লড়াইয়ে আফগানদের হারাতে পারাটা হবে মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে এগিয়ে যাওয়া। 

সাকিব তা ভালোভাবেই জানেন, তাইতো জয়ের সুরই ঝরল টাইগার অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘পরের ম্যাচটা জিততে পারলে ফাইনালে যাওয়ার আগে তা মানসিকভাবে আমাদের এগিয়ে দেবে। টি-টোয়েন্টিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।’

আফগানদের বিপক্ষে আগের ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। তার আগে হারতে হয়েছে টেস্টেও। টানা হারের ক্ষতগুলো এখনো দগদগে। তাইতো পরের ম্যাচেই রশিদদের হারিয়ে ক্ষতটা যতটুকু সম্ভব শুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টাই করবেন সাকিব বাহিনী। সেটাই সকলের প্রত্যাশা।

এনএস/