ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নির্বাচিত হয়ে যা বললেন ছাত্রদলের দুই নেতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:৩৫ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে ফজলুর রহমান খোকন  ও ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

বুধবার রাতে কাউন্সিলররা সরাসরি ভোটে তারা নির্বাচিত হন।

এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, ‘ছাত্রদলের প্রথম চ্যালেঞ্চ হবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা। আর তার মুক্তির মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।’

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদলকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ডাকসু নির্বাচনেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা ছাত্রদের অধিকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের কার্যাবলি সুনিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাব।’

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ কাউন্সিলে ৯ জন সভাপতি প্রার্থী এবং ১৯ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্য থেকে এই দুজনকে বেছে নিয়েছেন কাউন্সিলররা। সারা দেশে ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক শাখার ৫৩৪ কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮১ জন ভোটাভুটিতে অংশ নেন।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সভাপতি হয়েছেন খোকন। তিনি পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের ভোট ১৭৮।

সাধারণ সম্পাদক পদে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন শ্যামল। তিনি পেয়েছেন ১৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৪ ভোট।

ছাত্রদলের শীর্ষনেতা নির্বাচনে ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম ভোট হলো। ওই কাউন্সিলে রুহুল কবির রিজভী সভাপতি এবং এম ইলিয়াস আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে কয়েক মাস পরই কমিটি ভেঙে দেয়া হয়।

ছাত্রদলের সর্বশেষ কমিটি গঠন হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর। ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আকরামুল হাসান।