ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আফগানদের হারাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ইতোমধ্যেই নির্ধারণ হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজের দুই ফাইনালিস্ট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের জন্য শুধুই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তবুও ম্যাচটি হালকাভাবে নিচ্ছে না সাকিবরা। 

শুক্রবার বিকেলে তেমনটাই জানালেন দলে ফেরা পেসার শফিউল ইসলাম। একইসঙ্গে আফগানদের বিপক্ষে কোন পরিকল্পনায় এগোবে তা টিম ম্যানেজমেন্টের উপরেই ছেড়ে দিলেন তিনি।

টানা তিন পরাজয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে টুর্ণামেন্টের ওপর কাউণ্টার পার্ট জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তিনটি ম্যাচ খেললেও আফগানিস্তানের জন্য আজকেরটিসহ বাকি দুই ম্যাচই যেন শুধুই নিয়ম রক্ষার। আফগানিস্তানের মত বাংলাদেশেরও অনেকটা একই অবস্থা। শনিবারের ম্যাচটি যে কোন প্রভাবই ফেলবে না সিরিজে।

তবে প্রভাব ফেলবে একটা জায়গায়, সেটা হল র‍্যাঙ্কিংয়ে। অন্যান্য ফরম্যাটের তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে শক্তিশালী আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। তাইতো ফাইনালের আগে বাংলাদেশ চাইবে আফগানদের হারাতে। একসঙ্গে লক্ষ্য থাকবে র‍্যাংকিংয়ে নিজেদের অবস্থানকে সুসংহত করাও। 

তাই রশিদদের কীভাবে হারানো যায় সেটাই বললেন শফিউল ইসলাম। অভিজ্ঞ এ পেসার বলেন, আমরা যদি নিজেদের ভুলগুলো শোধরাতে পারি, নিজেদের কাজগুলো শতভাগ করতে পারি, তাহলে ওদেরকে হারানো সম্ভব।

শফিউল আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা সাধারণত যা থাকে, সেটাই। আমরা যত ভালো বোলিং করবো, ব্যাটসম্যানদের জন্য চাপ তত কম থাকবে। আমরা যেন ওদের কম রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারি, পেস বোলারদের যে দায়িত্ব সেটা যেন পালন করতে পারি এটাই মূল পরিকল্পনা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ম রক্ষার হলেও ফাইনালের আগে এ ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পেসার শফিউলও এদিন সুর মেলালেন অধিনায়কের কণ্ঠেই। ম্যাচটিকে ফাইনালের প্রস্তুতি হিসেবেও নিচ্ছেন শফিউল। 

তিনি বলেন, আমার মনে হয় যে, শনিবার প্রস্তুতিটা ভালোভাবে নেয়ার একটা সুযোগ থাকবে। কালকের ম্যাচটাও আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা যদি ভালো খেলি, ইতিবাচক ফল পাই। তাহলে এটা থেকে সবার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

আর সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই টানা ১২ ম্যাচে অজেয় আফগানদের হারিয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে চায় বাংলাদেশ।

এনএস/