ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

জয়ের লক্ষ্যে ছুটছে জিম্বাবুয়ে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:১৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি জিম্বাবুয়ে। দলটির অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বিদায়ী এ ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেন ক্রিস্টোফার এমপোফুরা। যাতে আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করলেও শেষ পর্যন্ত ১৫৫ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস। জবাবে মাসাকাদজার ব্যাটে জয়ের লক্ষ্যেই ছুটছে জিম্বাবুয়ে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১১০ রান। রেজিস চাকাভা ১৭ রানে ক্রিজে আছেন।

এর আগে ওপেনার ব্রেণ্ডন টেইলর ১৭ বলে ১৯ করে আউট হন। স্পিনার মুজিবুর রহমানের শিকার হন তিনি। অন্যদিকে বিদায়ী হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ঝোড়ো ফিফটি হাঁকিয়ে ৭১ রানে  আউট হন। দৌলত জাদরানের শিকার হন এই মারকুটে। তার ৪২ ইনিংসে ছিল পাঁচটি বিশাল ছক্কার সঙ্গে চারটি চারের মার। যাতে ১১০ রানে গিয়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জয়ের মন্ত্রে মাঠে নামা দলটি। 

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়। এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। দলের ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজের ঝোড়ো ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিলেও এদিন আর তা হয়নি। জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। 

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান আসে ওপেনার গুরবাজের ব্যাট থেকে। তার ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল সমান চারটি করে চার ও ছক্কার মার। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটিও আসে আরেক ওপেনারের ব্যাট থেকেই। ৩১ রান করে আউট হন হজরতউল্লাহ জাজাই। এ দুজন ছাড়া আর কেউ এদিন সফল হননি আর কেউই। 

জিম্বাবুইয়ান বোলারদের সামনে নজুবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, আসগর আফগানরা এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে দেড়'শ রানের পরেই থেমে যায় আফগানদের ইনিংস। যথাক্রমে ৫, ৪ ও শূন্য করে আউট হন এ ত্রয়ী। আগের ম্যাচে যাদের ব্যাটেই দুই'শ রানের কাছাকাছি স্কোর করে দলটি। আসলে ম্যাচটি জিততেই আজ মাঠে নেমেছে জিম্বাবুয়ে। যার প্রতিফলন দেখা গেল তাদের বোলিংয়েই। 

আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ আগেই সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করলেও নিয়মরক্ষার এ ম্যাচটি জিম্বাবুয়ের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকটা আবেগের ম্যাচও বটে। কারণ এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন দলটির তারকা ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।

দুর্দিনে দলের নেতৃত্ব থেকে সরে না দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেন মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ম্যাচসহ (৬৫) ফরম্যাটটির সর্বোচ্চ রানের মালিক মাসাকাদজার এটাই শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। অধিনায়ককে জয় দিয়েই বিদায় দিতে চাইবে জিম্বাবুয়ে। তবে কাজটা মোটেই সহজ হবে না। কারণ সিরিজে এখন পর্যন্ত অপরাজিত আফগানরা আছে দুর্দান্ত ফর্মে।

যদিও বোলিংয়েই জয়ের সে কাজ অনেকটা সহজ করে দিয়েছে এমপোফু-মুতোম্বোদজিরা। এদিন জিম্বাবুয়ের বোলাররা সবাই কম বেশি ভালো বল করেন। তবে সবচেয়ে সফল ছিলেন দলের অভিজ্ঞ পেসার ক্রিস্টোফার এমপোফু। ৩০ রান দিলেও আফগানদের পড়া আট উইকেটের অর্ধেকই যে গেছে তার ঝুলিতে। বাকি চারটির মধ্যে মুতোম্বোদজি ২টি এবং জার্ভিস ও উইলিয়ামস একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন। 

জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন টেইলর (উইকেটরক্ষক), রিচমন্ড মুতুমবামি, শন উইলিয়ামস, টিনোটেন্ডা মাতুমবোজি, রায়ান বার্ল, রেজিস চাকাভা, নেভিল মাদজিভা, কাইল জার্ভিস, আইন্সলে এনলভু, ক্রিস এমপোফু।

আফগানিস্তান একাদশ: হজরতুল্লাহ জাজাই, রহমতুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), শফিকুল্লাহ, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবী, নজিবুল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নায়িব, ফজল নিয়াজাই, রশিদ খান (অধিনায়ক), দাওলাত জাদরান, মুজিব উর রহমান।

এনএস/