ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খোঁজ মিললো রোনালদোকে হ্যামবার্গার দেওয়া মহিলার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৭ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার

সম্প্রতি ব্রিটেনের টিভি চ্যানেল 'আই টিভি'-তে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া তিনজন মানুষকে খুঁজছেন অন্যান্য কথার সঙ্গে এই কথাটিও বলেছিলেন রোনালদো। তার ছোটবেলার সেই হারিয়ে যাওয়া তিনজনের একজনের খোঁজ পাওয়া গেছে সাক্ষাৎকারের পর পরই। রোনালদোর জীবনের আবেগ ভরা এই ঘটনা তার ভক্তদের চোখে অশ্রুও এনে দিয়েছে।

সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছিলেন, আমি যখন ১১-১২ বছরের ছিলাম, তখন আমাদের সে রকম অর্থ ছিল না। ভালোভাবে খাওয়াও হত না। সেই সময় লিসবনে থাকতাম খেলার জন্য। প্রতি তিন মাসে মাদেইরা যেতাম বাড়ির লোকের কাছে। সেই সময়টা আমার জীবনের খুব কঠিন সময় ছিল। লিসবনে যে স্টেডিয়ামে থাকতাম, তার কাছেই ছিল একটা ম্যাকডোনাল্ডসের দোকান। আমরা প্রতিদিন রাত সাড়ে দশটা-এগারোটা নাগাদ চলে যেতাম ম্যাকডোনাল্ডসে। ওই দোকানের পিছনের দরজায় নক করতাম। জিজ্ঞাসা করতাম, কোন বার্গার কি পড়ে আছে?

রোনালদোর ফুটবল জীবনের প্রথম দিকের এই কথাগুলো মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর তা থেকে রোনালদো ভক্তরা হয়েছেন অশ্রুয়ায়িত।

সেই সময় ম্যাকডোনাল্ডসের তিন মহিলা ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন রোনালদো ও তাঁর বন্ধুদের জীবনে। এই মহিলারাই প্রতিদিন ম্যাকডোনাল্ডসের পেছন থেকে কিছু বার্গার সরবরাহ করতো রোনালদোদের।

রোনালদো ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘এদনা এবং আরও দু'জন মেয়ে অসাধারণ ছিল। আমি পরে ওই তিনজনকে কখনও খুঁজে পাইনি। পর্তুগালে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তারাও সন্ধান দিতে পারেননি। ওই ম্যাকডোনাল্ডসও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে যদি তাদের খুঁজে পাওয়া যায়। তবে আমি ওদেরকে আমার লিসবন বা তুরিনের বাড়িতে ডিনারে আমন্ত্রণ জানাতে চাই।'

রোনালদোর এই আশা পূর্ণ হল মাত্র তিনদিনেই। ওই তিন মহিলার মধ্যে একজনের সন্ধান পাওয়া গেছে। পাওলা লেকা নামের ওই মহিলা পর্তুগালের এক মিডিয়ার কাছে বলেছেন, সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিন রোনালদোর হাতে হ্যামবার্গার তুলে দিতাম। যদিও এই গল্প আমার ছেলের কাছে বললে সে বিশ্বাস করত না। কিন্তু আমার স্বামী জানে, রাতে আমাকে আনতে গিয়ে অনেক দিন সেও দেখেছিল রোনালদো ও তার বন্ধুদের। তবে আর যে ক'জন আসত, তার মধ্যে রোনালদোই সবচেয়ে ভীতু শান্তশিষ্ট ছিল।

পাওলা লেকা আরও বলেন, রোনালদো যে কথাগুলো বলেছে, তাতে ওর ভদ্রতার পরিচয়ই পাওয়া গেল। আমি রাজি ওর আমন্ত্রণ রক্ষা করতে। ওর সঙ্গে ডিনারের ফাঁকে ফাঁকে পুরোনো দিনের গল্পও হবে।

এএইচ/