ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

গায়ের দুর্গন্ধ সরাতে যে খাবারগুলো এড়িয়ে যাবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৭ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১১:০৮ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

গুমোট আবহাওয়ায় অনেক সময় শরীরে ঘাম বেশি হয়, মাঝে মাঝে তা থেকেই অসহ্য দুর্গন্ধ ছড়ায়। গরমে বাসে-ট্রেনে ঝুলতে ঝুলতে ঘেমে-নেয়ে অফিসে পৌঁছালেও ঘামের দুর্গন্ধে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় অনেককেই। আবার এমনও কিছু লোক আছে যাদের শরীর থেকে এমনিতেই কিছুটা দুর্গন্ধ ছড়ায়। শুধু তাই নয়, কথা বলার সময়েও কিছু লোকের মুখ থেকেও গন্ধ বের হয়।

এ রকম বিরক্তিকর অবস্থা এড়াতে অনেকেই বিভিন্ন পন্থা বেছে নেন। এর মধ্যে বাজার চলতি নানা রকম বডিস্প্রে, রোল অন জাতীয় সুগন্ধি ব্যবহার করেন কেউ কেউ। কিন্তু এগুলো দিয়ে খুব বেশিক্ষণ নিশ্চিন্তে থাকা যায় না। কেননা কিছুক্ষণ গেলে এগুলোর সুফল আর পাওয়া যায় না। আবার অনেকেই দুর্গন্ধ সরাতে মুখে রাখেন মশলা। তা কি সব সময় রাখা সম্ভব?

কিন্তু দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক -

* জিরা বা ওই জাতীয় মশলাযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব কম খান। কারণ, জিরা বা ওই জাতীয় মশলা শরীরে সালফার জাতীয় গ্যাস সৃষ্টি করে যা লোমকূপ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত হয়। ফলে শরীরে দুর্গন্ধও হয় বেশি।

* পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সালফার জাতীয় উপাদান যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। পেঁয়াজ শরীরের পক্ষেও উপকারী। তাই যারা মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ সমস্যায় ভোগেন তাদের পেঁয়াজ কম খাওয়াই ভাল।

* পেঁয়াজের মতো রসুনেও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সালফার জাতীয় উপাদান যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। রসুনে থাকা সালফার উপাদান রক্তে মিশে যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এই দুর্গন্ধই লোমকূপ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত হয়। তাই শরীরের মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ দূর করতে রসুন কম খাওয়াই ভাল।

* অতিরিক্ত মাত্রায় দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে এর মধ্যে থাকা উপাদানগুলো ভেঙে হাইড্রোজেন সালফাইড এবং মিথাইল মারক্যাপশন তৈরি হয়। এই হাইড্রোজেন সালফাইড এবং মিথাইল মারক্যাপশন শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। তাই উপকারী হলেও দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।

* কৃত্তিম মিষ্টি, চকোলেট, ক্যান্ডি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে শরীরে ফ্যাটি আসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে রক্তে ইস্টের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। তাই এগুলো কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।

* অতিরিক্ত মাত্রায় শর্করা জাতীয় খাবার খেলে তা রক্তে ‘কিটোন বডি’ তৈরি করে যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।

* অ্যালকোহল শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, এ কথা অমরা সকলেই জানি। যারা অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালকোহল খান, তাদের ঘামের সঙ্গে আর মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি।

এএইচ/