ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ক্যাসিনো ইস্যুতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৩৪ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, ক্যাসিনো ইস্যুতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে এমপি, মন্ত্রী বা যে দলেরই লোক হোক সেটা বিবেচনা করা হবে না। দলের ভেতরে তৈরি হওয়া আগাছা-পরগাছা পরিষ্কার করতে অ্যাকশন শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে সন্ধ্যায় ‘মানচিত্র’র আয়োজনে মাদক, জঙ্গীবাদ, গুজব, যৌন নিপীড়ন বিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল, ডিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (অর্থ বিভাগ) শ্যামল কুমার মুখার্জী, যুব লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসবীরুল হক অনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক প্রমুখ।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিযানের মাধ্যমে সারাদেশে টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। যে যত বড় মাস্তান হোক, যত বড় নেতাই হোক, যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা। তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। তারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। কিন্তু বাঙালির হৃদয় থেকে তাকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন তার আদর্শ ও নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন পর হলেও সেই হত্যার বিচার করেছেন। যেসব খুনিরা বিদেশে রয়েছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করতে প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারা গুজব ছড়ায়, তারা দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী। এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। জনগণ অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্ত দেশ চায়। যেমন চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এজন্য দেশ থেকে দুর্নীতি উৎখাত করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শোষণমুক্ত সোনার বাংলা তৈরি করা যাবে। আর সেই কাজ নিরলস ভাবে করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, সারাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, সব উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে হয়েছে। তাই আমাদের উচিত হবে শেখ হাসিনাকে আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার সুযোগ দেওয়া।

তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালে পূর্ণ হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করা হবে। উপলক্ষ্যে আগামী ২০২০-২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে। ইতোমধ্যে একটি জাতীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে  নতুন ইতিহাস তৈরি হবে বাংলাদেশে।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিনই কোনও না কোন ইতিহাস তৈরি করছেন উল্লেখ করে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার প্রদান করেছ গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)।

টিআর/