ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫,   পৌষ ৮ ১৪৩২

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও চিহ্নিত হয়নি রাঙামাটির বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১২:৩৪ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ বুধবার

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও চিহ্নিত হয়নি রাঙামাটির বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাঙামাটিতে হানাদার বাহিনীর গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু, প্রকৃত স্থান চিহ্নিত করতে না পারায় গণকবরগুলো সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। রাঙামাটির বুড়িঘাট। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে এখানেই শহীদ হয়েছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ। এর আগে তার মেশিনগানের গুলিতে পাকিস্তানী বাহিনীর দু’টি লঞ্চ ও একটি স্পিড বোট পানিতে ডুবে যায়। মারা যায় দুই প্লাটুন পাকিস্তানী সৈন্য। স্বাধীনতার অনেক পর সেই স্থানটি চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করা হয়। শহরের প্রবেশ মুখে মানিকছড়ি পাহাড় ও জেলা প্রশাসকের বাংলোর কাছে কাপ্তাই হ্রদ। এ’দুটি স্থান ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে হত্যার পর পাহাড়ের খাদে ফেলে দিত। আজও সে স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করা যায়নি। তবে, গণকবরগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে বলে জানালেন মুক্তিযোদ্ধা ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের কর্মকর্তারা। রাঙামাটির বধ্যভূমি ও গণকবর শনাক্ত করে সংরক্ষণের দাবি সব শ্রেণীপেশার মানুষের।