ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

গবিতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাহিত্য পাঠ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৬ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাহিত্য পাঠের আসর ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদ’র আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্ত্বরে সাহিত্য পাঠের আসরের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় বিদ্যাসাগরের জীবন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে অগ্নিসেতুর সাংস্কৃতিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অরূপ দাস শ্যাম বলেন, ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন ভারতের মহাপুরুষ।তিনি সমাজ সংস্কারমূলক কাজ করেছেন ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন।সমাজ সংস্কার করতে গিয়ে তিনি নিজ সন্তানকেও তাজ্য করেছেন। ভাবতেও অবাক লাগে, আজ এই সমাজে এসেও আমরা সমাজ নিয়ে যা ভাবতে পারি না।তা তিনি শত বছর আগেই করে গেছেন।আজ থেকে দুইশ বছর আগে না তিনি ধরাধমে না আসলে আমরা অনেক কুসংস্কারের মধ্যেই বসবাস করতাম।’
 
বর্তমান প্রজন্ম সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন,‘বর্তমান সময়ে মানুষ ফেসবুক কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে।মানুষের মধ্য থেকে কোন বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে।কারও ব্যথায় কেউ ব্যথিত হয় না।কেউ সমাজের সমস্যাগুলো নিয়ে ভাবতে চান না।সবাই দ্বায় এড়িয়ে যেতে চান। কিন্তু সবাই যদি এভাবে সমাজ নিয়ে অচেতন থাকেন তবে এই সমাজ বদলাবে কিভাবে?তাই এখনি সময় থাকতে সবার বই পড়ায় মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। কারণ বই পড়ে মানুষের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে।’

অগ্নিসেতু'র সহ-সভাপতি পবিত্র কুমার শীল বলেন,‘উৎকৃষ্ট সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়েই আমরা একটা সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারি।আর তার জন্য আমাদের মহামানবদের জীবনী সম্পর্কে জানা উচিৎ। অগ্নিসেতু বরাবরের ন্যায় সুষ্ট সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে সুন্দর একটা সমাজ গড়তে ভূমিকা পালন করবে।’

এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন,অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদ গণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হোসাইনুল আরেফিন সেতু, সহ-সভাপতি পবিত্র কুমার শীল, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান মনিসহ কমিটির আরও অনেকে।
এমএস/কেআই