ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৮:৫০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার

আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক নির্মূলে টিকাদানই মুখ্য।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় ২০১০ সালে জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে কর্মসূচি চালু হয়। কর্মসূচির শুরুতে ২০১৫ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক ৯০ ভাগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে ২০২০ সালের মধ্যে দেশ থেকে পুরোপুরি জলাতঙ্ক নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে এসে জলাতঙ্ক ৯০ ভাগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রায় সময় এক বছর বাড়িয়ে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। তবে পুরোপুরি নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা ২০২০ সাল পর্যন্ত রাখা হয়েছিল। এবার নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের দুই লক্ষ্যমাত্রারই পরিবর্তন হলো।

সিডিসির এক বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা ২১৪৭ থেকে ১৪৪৫ এ নেমে এসেছে। একইভাবে ২০১০-১১ সালে জলাতঙ্কে ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর এ সংখ্যা ২০১৭-১৮ সালে কমে ৪৬ জন এবং ২০১৮-১৯ সালে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে ২০১০ সালের আগে প্রতি বছর প্রায় দুই হাজার মানুষ জলাতঙ্কে মারা যেত।

জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘ঘাতক ব্যাধি জলাতঙ্কের প্রধান বাহক কুকুর। এ ছাড়া বিড়াল, বেজি ও শিয়ালের আঁচড়-কামড়েও এ রোগ হতে পারে। শত বছর ধরেও কুকুর মেরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কুকুরকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কুকুরকে টিকাদানের মাধ্যমে জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’

জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে কুকুরে কাউকে কামড় দিলে সাতটি ইনজেকশন দেওয়া হতো। এখন মাত্র তিনটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশের ৩৫ জেলায় ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৪৫টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হয়েছে। অন্য জেলাগুলোতে কুকুরকে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে জলাতঙ্ক নির্মূলের পথে দেশ এগিয়ে যাবে।
এসএ/