ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

‘জয় হিন্দ’ বলায় রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে আল্টিমেটাম

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:০১ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে ‘কালচার, পিস অ্যান্ড এডুকেশন: ফ্রম দ্য পারস্পেকটিভ অফ পিপলস স্টিস্ট্রি’ -শীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের পর ‘জয় হিন্দ’ বলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমনকি ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামও দেয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে এ আল্টিমেটাম দিয়ে বিবৃতি প্রদান করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যরা।


 
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিনেট ভবনে একটি অনুষ্ঠানে রাবি উপাচার্য এম আবদুস সোবহান ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের পর ‘জয় হিন্দ’ বলেছেন। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। বক্তব্যটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তার এ বক্তব্য খুবই উদ্বেগজনক। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি লক্ষ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশকে অসম্মান ও অস্বীকার করেছেন। যা দেশদ্রোহীতার শামিল। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মতো পদে বসে এমন গর্হিত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে উক্ত পদকে তিনি কলঙ্কিত করেছেন। আমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে ‘কালচার, পিস অ্যান্ড এডুকেশন: ফ্রম দ্য পারস্পেকটিভ অফ পিপলস স্টিট্রি’ -শীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের পর ‘জয় হিন্দ’ বলে ওঠেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। তার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সৃষ্টি হয় তুমুল আলোড়ন। ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এনএস/