ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

দাম কমানো হবে ডিএপি সারের: কৃষিমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৮ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

ডাই-এমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমরা চিন্তা করেছি ডাই-এমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম আরও কমানোর। এ সারের দাম কমিয়ে ২০ টাকা করার প্রস্তাব দেব।

রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১৪তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার’ বিতরণী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী  এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বিএনপি সরকারের সময় সারের যে দাম ছিল তার চেয়ে অনেক কম দামে দিচ্ছি। ৭২ টাকার সার আমরা ২২ টাকায়, ৯০ টাকার ডিএপি সার ২৫ টাকায়, পটাশিয়াম সার ৬০ টাকারটা ১৫ টাকায় দিয়েছি। সারের দাম আমরা আরও কমানোর চিন্তা করছি।

বর্তমান সরকার কৃষকদের যন্ত্রপাতি কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি দেব। সেটা ধান কাটার মেশিন, ধান লাগানোর মেশিন। আগে এটা ৫০ ভাগ ছিল। এখন ৬০ ভাগ সরকার দেবে। হাওর এলাকায় আমরা ৭০ ভাগ দেব। অর্থাৎ কোনো কৃষি যন্ত্রপাতির দাম ১০ লাখ টাকা হলে সরকার দেবে সাত লাখ টাকা বাকি তিন লাখ কৃষক দেবেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা হল অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তারা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা দেশের মূল অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের কাজের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এই তরুণরাই কৃষিকে লাভবান কৃষিতে রূপান্তর করবে।
অনুষ্ঠানে মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে নয়জন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তা তৈরি হলে বিনিয়োগ বাড়বে, যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। পণ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত কীভাবে করতে হবে সে বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার কমাতে হবে। বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে এসেছে তার জন্য এরকম উদ্যোক্তাদের ভূমিকা রয়েছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে যেখানে একসময় আমাদের বাজেটের ৪০শতাংশ ছিল বিদেশ নির্ভর, এখন মাত্র ২ শতাংশ।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো বিশেষ করে চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল করা এবং নারী-পুরুষের সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে এ খাত ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, এমন কাজ করেন যা মানুষ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ রাখবে। কেসিনো ও মাদক ব্যবসা করে যারা অর্থ উপার্জন করছে তারা বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের উচিত আজ যারা পুরস্কার পেলো তাদের অনুসরণ করে পথ চলার। সর্বপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণে গর্বিত অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, অর্থনৈতিক  প্রবৃদ্ধি অর্জন, আয়বৈষম্য কমিয়ে আনা, দারিদ্র্য বিমোচন প্রভৃতি লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার হলো এসএমই। বর্তমান সরকারও এসএমই খাতের উন্নয়নকে শিল্পায়নের চালিকা শক্তি হিসেবে গ্রহণ করে এ খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

আনুষ্ঠানে মোট ৫টি ক্যাটাগরিতে ৯ জন ব্যক্তি ৩টি প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের মধ্যে ছিল- ক্রেস্ট, সনদ ও আর্থিক চেক। প্রথম রানার আপকে দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২য় রানার আপকে ১ লাখ টাকা করে। বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা, তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পেয়েছেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে এবং বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পেয়েছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- আরলিংকস লি. এর চেয়ারপার্সন রোকেয়া আফজাল রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন- সিটি বাংলাদেশের এম ডি এন রাজশেকারান, শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. হুমায়রা ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সিডিএফ এর নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল।

আরকে//