ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

কিংবদন্তী শিল্পী শচীন দেববর্মণের জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩১ এএম, ১ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী শচীন দেববর্মণের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯০৬ সালের আজকের এই দিনে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ত্রিপুরার চন্দ্রবংশীয় মাণিক্য রাজপরিবারের সন্তান। তার ছেলে রাহুল দেববর্মণ ভারতের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক এবং সুরকার ছিলেন। তার ছাত্রী এবং পরবর্তী সময়ে সহধর্মিণী মীরা দেববর্মণও গীতিকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পুত্রবধূ আশা ভোঁসলে সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নাম।

বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গায়ক ও লোকসঙ্গীত শিল্পীকে এস ডি বর্মণ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়।
কিছুটা অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি তার শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। শত বছর পার করেও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন কিছুমাত্র কমেনি। কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে নয়, গীতিকার হিসাবেও তিনি সার্থক। তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

শচীনের গাওয়া অথবা সুর করা গানের মধ্যে রয়েছে ‘তুমি এসেছিলে পরশু’, ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই’, ‘কে যাস রে ভাটি গাঙ’, ‘নিশিথে যাইওরে ফুলবনে’, ‘শোনো গো দখিন হাওয়া’, ‘রঙিলা রঙিলা’, ‘ঝিলমিল ঝিলমিল’, ‘নিটল পায়ে’, ‘বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে’, ‘তুমি আর নেই সে তুমি’, ‘টাকডুম টাকডুম বাজে’, ‘আঁখি দুটি ঝরা’ ইত্যাদি।

১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে প্যারালিটিক স্ট্রোক হয়ে পাঁচ মাস তিনি কোমায় ছিলেন। ৩১ অক্টোবর, ১৯৭৫ তার প্রয়াণ হয়।

তিনি ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সঙ্গীতে নাটক একাডেমি এবং এশিয়ান ফিল্ম সোসাইটি লন্ডন থেকে সম্মাননা লাভ করেন। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার হতে পদ্মশ্রী খেতাব লাভ করেন।

এসএ/