ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মা হয়েও বিশ্বের দ্রুততমা ফ্রেজার প্রাইস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩২ এএম, ১ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

এক সন্তানের মা হয়েও সর্বকালের অন্যতম সেরা মহিলা অ্যাথলেট হিসাবে নাম লেখালেন শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস। শুধু তাই নয়, ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ, মারিয়ান জোন্সদের মতো সেরাদের তালিকায়ও ঢুকে পড়লেন তিনি। দোহার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ১০০ মিটারে সোনা জিতে নিলেন জ্যামাইকান এই অ্যাথলেট। প্রায় দু’বছর পর ট্রাকে তাঁর প্রত্যাবর্তন হলো রানির মতোই।

৩২ বছর বয়সী শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস দোহায় বিশ্ব মিটে ১০০ মিটারে সোনা জিততে সময় নিলেন ১০.৭১ সেকেন্ড। এ জয় নিয়ে টানা চতুর্থ বার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। তাঁর পরের স্থানে রয়েছেন ডাইনা অ্যাসার স্মিথ। তিনি সময় নিয়েছেন ১০.৮৩ সেকেন্ড।

ফ্রেজার প্রাইসের উত্থান ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক থেকে। আবার এই সময়ে, এই স্থানেই আরেক জ্যামাইকানের উত্থান। তিনি হলেন উসাইন বোল্ট। সেবারও ১০০ মিটারে সোনা জিতেছিলেন ফ্রেজার প্রাইস। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকেও ছিলেন দ্রুততম মহিলা। কিন্তু রিওতে নিরাশ করেছিলেন তিনি।

এবার দোহার বিশ্ব মিটে ফিরে ১০০ মিটারে সোনা জিতে প্রমাণ করলেন তিনিই ট্রাকের রাজা আরেক বোল্ট। যদিও উসাইন বোল্ট ট্র্যাক থেকে বিদায় নিয়েছেন অনেক আগে। আর ফ্রেজার প্রাইস এখনও অপ্রতিরোধ্য।

ফ্রেজার প্রাইস যখন ট্র্যাকে দৌড়াচ্ছিলেন, তখন তাঁর ছেলে বসে ছিল গ্যালারিতে। এটাই আরও বেশি করে জ্যামাইকান এই স্প্রিন্টারকে অনুপ্রাণিত করেছে। সোনা জেতার পর তিনি বলেছেন, ‘আমার সাফল্যের রহস্যই হল, নিজের প্রতি পরিষ্কার ধারণা। অ্যাথলেট ও মানুষ হিসেবে সব সময় নিজের ফোকাস ধরে রাখি। চেষ্টা করি, যে কঠিন পরিশ্রমটা আমাকে এখানে তুলে এনেছে সেটা চালিয়ে যেতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্যালারিতে আমার ছেলে বসেছিল। এটা আমাকে অন্য রকম অনুভূতি দিয়েছে। যা বলে শেষ করা যাবে না। আর টোকিও নিয়ে এখন থেকেই ভাবনা শুরু হলো আমার।’

এএইচ/