ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

চীনের ৭০ বছরের পরিবর্তন পরিমাপ হতে পারে ‘এক ঘণ্টায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:০৯ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

চীনে কমিউনিস্ট পার্টির শাসনের ৭০ বছর পূর্ণ হলো আজ মঙ্গলবার। বিশেষভাবে দিনটি পালন করছে বেইজিং। উৎসব আয়োজনে পালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

সোমবার সন্ধ্যায় তিয়েন আনমেন চত্বরে আতশবাজি পোড়ানোসহ ৭০ হাজার কবুতর ও ৭০ হাজার বেলুন ওড়ানো হয়। রাজধানী বেইজিং চীনের জাতীয় পতাকা, লণ্ঠন, ফুল ও রাজনৈতিক স্লোগগান দিয়ে ছেয়ে ফেলা হয়।

মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর কমিউনিস্ট পার্টির শাসন শুরু হয় চীনে। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে চীন।

চীনের আধুনিক ইতিহাসের সময়কার ক্ষতগুলোয় আলাদাভাবে মনোনিবেশ নয়। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হয়েছিল সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এবং চীনের রূপান্তর ছিল আসলেই চমকপ্রদ।

১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর, চেয়ারম্যান মাও, তিয়ানমেন স্কয়ারে দাঁড়িয়ে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত, আধা সামন্তবাদী রাষ্ট্রকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সে সময় সামরিক কুচকাওয়াজে যুক্ত হতে পেরেছিল মাত্র ১৭টি বিমান।

বিপরীতে এই সপ্তাহের প্যারেডে থাকছে দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র, সুপারসনিক স্পাই ড্রোন- বলা যায় এগুলো উদীয়মান, শক্তিশালী ৪০ কোটি উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিজয়ের চিহ্ন।

এটি একটি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সাফল্যের বিবরণ, যদিও বেশিরভাগ অংশেই এটি সত্য- তবে অসম্পূর্ণ।

চীনে বাইরে থেকে নতুন যারা আসেন, আকাশচুম্বী অট্টালিকা, হাইটেক মেগাসিটিগুলোর চাকচিক্যময় মহাসড়ক আর হাইস্পিড রেল নেটওয়ার্ক দেখে মুগ্ধ হয়ে যান।

দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যেই রয়েছে একটি বিশাল ভোক্তা গোষ্ঠী, যারা নিজেদের স্বাধীনতা ভোগ করছে এবং স্বাধীনভাবে ডিজাইনার পণ্য কেনাকাটা করছে, বাইরে খাওয়া দাওয়া করছে, বিচরণ করছে ইন্টারনেটে।

অথচ, ৭০ বছর আগে দেশটির সব জনগণের মুখে খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছিল চীন। সেই অনুন্নত কৃষিনির্ভর চীন এখন বৈশ্বিক শিল্প চেইনে একটি অপরিহার্য সরবরাহকারী দেশ। প্রাত্যহিক জীবনের প্রয়োজনীয় সব কিছু থেকে শুরু করে উচ্চ গতি সম্পন্ন ট্রেন পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে চীনে। দেশটিতে এক ঘণ্টার মধ্যে কী কী অর্জন করা যায়? ৭০ বছর আগে চীনের যাত্রা শুরু হওয়ার সময়ের চেয়ে আজকের চীনের জন্য উত্তরটি দিতে হবে একটু অন্যভাবে।

১৯৪৯ সালে যাত্রা শুরুর সময় চীনের অধিকাংশ নাগরিক বিদেশ ভ্রমণের কথা কল্পনাও করতেন না। সেই চীনারা এখন প্রতি ঘণ্টায় ১৯ হাজারবার বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় একজন নাগরিক চীনের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন ৭ দশমিক ৪ উইয়ান (এক মার্কিন ডলার)। এই সংখ্যাটা ১৯৫২ সালের হিসেবে ৫০০ গুণ বেশি।

এই ৭০ বছর পর চীন নিজেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বিশ্বে শীর্ষে সি চিন পিংয়ের দেশ।