ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

হাঁটু সমান কাঁদা মাড়িয়ে চলেন ঝিকরগাছার জনগণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩৪ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারন ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ডাঙ্গী-বাগ গ্রামের তিন কিলোমিটার সড়ক দিয়ে জেলা উপজেলা শহরে যাতায়াত করেন কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু হাঁটু সমান কাঁদা মাড়িয়ে ওই তিন কিলোমিটার কাঁচা সড়কে চলতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন এলাকাবাসী।

শত শত স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও গ্রামের সাধারণ মানুষকে ওই তিন কিলোমিটার ‘কাঁদার খাল’পাড়ি দিয়ে ভয়ানক কসরত করে যাতায়াত করতে হয় স্কুল, কলেজ ও শহরে। বর্ষা মৌসুম এলে সড়কের ওপর হাটু সমান পানি কাঁদায় পরিপূর্ণ থাকে। অনেকে সড়কের কষ্টের ভয়ে বের হতে চান না বাড়ি থেকে।
 
এলাকাবাসী জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারনে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি এবং শহরে বেশ কটি ইন্ডাস্ট্রি থাকলেও শুধু সড়কটির ভয়ানক অবস্থার কারণে গ্রামের মানুষ কাজের খোঁজে অনাগ্রহী। এই গ্রামের উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলা যেমন কষ্টকর ব্যাপার, তেমনি উৎপাদিত ফসল সড়কের এ অবস্থায় শহরে বিক্রি করতেও নিয়ে যেতে পারেন না তারা। কাঁচা সড়কটির বর্তমান দুর্দশার কারণে ইজ্ঞিন চালিত ট্রলি, নসিমন, ভটভটি, ভ্যান কিছুই চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

গ্রামটির বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা নাজমা খাতুন বলেন, বর্ষা মৌসুমে স্কুলের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। কারণ একহাটু কাঁদা পেরিয়ে স্কুল ভ্যান গ্রামে যেতে পারে না। এ সময় বাচ্চারা প্রায়ই স্কুলে আসে না। কাঁদার মধ্যে পড়ে বাচ্চাদের জামা কাপড় বই খাতা নষ্ট হয়ে পড়ছে।

নাজমা খাতুন আরও বলেন, বিকল্প সড়ক হিসেবে বেতনা নদীর ওপর তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলের বাচ্চাদের পারাপার হতে হয়। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

এই গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান ও আবদুল আউয়াল বলেন, অসুস্থ রোগীদের নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকে বিচ্ছিন্ন। সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য বারবার স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেও কাজ হয়নি।

এ ব্যাপারে নাভারন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আলী বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই করুন। এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল দুরে থাক পায়ে হাটাই ঝুঁকিপুর্ণ রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে। তারা আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ কাজ হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। 
কেআই/