ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

পাকিস্তানে শ্রীলংকার রানের পাহাড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ২ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১০:০৮ পিএম, ২ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

দানুশকা গুনাথিলাকার অনবদ্য সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে শ্রীলংকা। ম্যাচটিতে মূলত একাই লড়াই করেন লঙ্কান ওপেনার। যে লড়াইয়ের সুবাদে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সফরকারীরা। তিন ম্যাচের এ ওয়ানডে সিরিজে জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ২৯৮ রান।  

জবাবে ওই রান পাহাড় টপকাতে নেমেছে স্বাগতিকদের দুই ওপেনার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তনের সংগ্রহ ১৪৫ রান। আবিদ আলি ৭৪ রান করে আউট হলেও ফখর জামান ৬০ রানে এবং বাবর আজম ১০ রানে ব্যাট করছেন।   

বুধবার করাচির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলংকা। সিরিজে ভাগবসানোর ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আভিস্কা ফার্নান্ডোর উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সফরকারীরা।

দলীয় ১৩ রানে আভিস্কার বিদায়ের পর অধিনায়ক লাহিরু থিরিমান্নেকে নিয়ে দলের হাল ধরেন গুনাথিলাকা। এ ওপেনারের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন লংকান অধিনায়ক। মোহাম্মদ নওয়াজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৩৬ রান করেন থিরিমান্নে।

এরপর অ্যাঞ্জেলো পেরেরার সঙ্গে ৫০ রানে জুটি গড়েন গুনাথিলাকা। পেরেরা ২৫ বলে ১৩ রানে আউট হলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান গুনাথিলাকা। ইনিংসের শুরু থেকে বলে বলে রান করে যাওয়া গুনাথিলাকা তার শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ঠিক ১০০ বলে। এসময়ের মধ্যে ১২টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। 

সেঞ্চুরির পর দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান গুনাথিলাকা। চতুর্থ উইকেটে মিনোদ ভানুকাকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩৯ বল খেলে দুটি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ রান করে আউট হন শ্রীলংকার তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামা গুনাথিলাকা ৪৫তম ওভারে গিয়ে আউট হন। মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ক্যারিয়ার সেরা ১৩৪ বলে ১৬টি চার ও এক ছক্কায় ১৩৩ রান করেন। এই রান সংগ্রহের মধ্য দিয়ে করাচি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে স্থান করে নেন লংকান ওপেনার গুনাথিলাকা। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলংকার হাম্বানটোটায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১১৫ রান করেন তিনি। 

এর মাঝে ২৪ বলে ৪৩ রান করে ঝড় তোলেন দাসুন শানাকাও। এছাড়া ৩৬ রান করে করেন অধিনায়ক লাহিরু থিরিমান্নে ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মিনোদ ভানুকা।

তবে গুনাথিলাকা আউট হওয়ার পর ইনিংসের শেষ দিকে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি কেউই। এ সময়ে মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারালে উবে যায় লঙ্কানদের তিনশতাধিক রান সংগ্রহের সম্ভাবনা। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৯৭ রানে থামে লংকান ইনিংস।

এদিন পাকিস্তানের হয়ে ৫০ রানে ৩ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার ছিলেন মোহাম্মদ আমিরই। উসমান শিনওয়ারি, ওয়াহাব রিয়াজ, শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ পান একটি করে উইকেট। 

এর আগে  সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। আর দ্বিতীয় ম্যাচে বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে ৩০৫ রান তুলে ৬৭ রানের জয় পায় পাকিস্তান। যার ফলে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে আছেন স্বাগতিকরা।

এনএস/