ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চেয়ারম্যানের সহায়তায় সরকারি টাকা আত্মসাত 

মহেশখালী সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১১:৩৭ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার

মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে চেয়ারম্যানের সহায়তায় সরকারি  টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মাতারবাড়ী মজিদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামাল হোছাইন তার ছেলে রুহুল বয়ান সাগরকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন  মোতাবেক বেতন কোড ১১ প্রাপ্য হলেও অনিয়মের মাধ্যমে দীর্ঘ নয়টি বছর আত্মসাত করে যাচ্ছেন সরকারি তিন লক্ষ্যাধিক টাকা।

অতিরিক্ত বেতন ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহেশখালী ও সভাপতি মজিদিয়া মাদ্রাসা’ মোঃ জামিরুল ইসলাম অবগত হলে ১০ মাস পর্যন্ত স্থগিত করেন রুহুল বয়ান সাগরের বেতন। সরকারি আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত প্রদান ও বেতন কোড সংশোধন করার নির্দেশ দিলেও কৌশলে অধ্যক্ষ কামাল কালক্ষেপন করেন। 

এরইমধ্যে কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নিয়মিত কমিটি গঠনের ব্যবস্থা না নিয়ে গোপনে শুরু করেন এডহক কমিটির কাজ। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/প্রশা/৩২৬১৯১০৬৩৫৬১/১৮২৫৯/নথি নং-২৯, তারিখঃ  ২১ এপ্রিল/১৯ মূলে এডহক কমিটি গঠনের অনুমতি প্রাপ্তহন।  নিজের দুর্নীতি অনিয়ম আড়াল করতে মাতারবাড়ীর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহকে মাদ্রাসার এডহক কমিটির  সভাপতি করে নেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইউএনও কর্তৃক স্থগিতকৃত সরকারি টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা  কমিটির  বর্তমান সভাপতি  চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ।  

মাদ্রাসার একজন শিক্ষক জানান, এডহক কমিটি গঠনের বিষয়টি অবগত হলে তিনি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহকে অধ্যক্ষের ছেলে কর্তৃক  টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানান। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এরপরও সরকারি টাকা আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়ায়  দেখা দেয় সচেতন মহলে।একটি আলিম মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন যাবৎ পকেট কমিটি করে মাদ্রাসার সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছেন অধ্যক্ষ কামাল। তেমন কোন সহসয় সম্পদের মালিক না হলেও করেছেন বিলাস বহুল  মাঝেমধ্যে অডিট আসলেও ম্যানেজ করেছেন মোটা অংকের টাকায়। ফলে অনেকটা আড়ালে ছিল বিষয়টি। গত বছর মাদ্রাসার সাবেক একজন সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা  নির্দেশ দেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি'কে। 
এরপরও বেপরোয়া অধ্যক্ষ ল বয়ানের বেতন স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে এডহক কমিটি গঠন করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি শুনেছেন ইউএনও। সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউএনও কর্তৃক স্থগিতকৃত বেতন কিভাবে উত্তোলনের সুযোগ দিলেন এবিষয়ে জানতে মাদ্রাসার সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ'র সাথে (০১৭১৩৬৩১৩৭৭) যোগাযোগ করলে তিনি জানান- রুহুল বয়ান সাগরের স্থগিতকৃত বেতন তিনি ১১ কোডে উত্তোলনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। 

তবে এমপিও কপিতে ঐ শিক্ষকের বেতন এখনো ১০ কোড। এঅবস্থায় আইনি জটিলতা শেষ না করে ১১ কোডে বেতন উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়া আইনসিদ্ধ কিনা এমন প্রশ্নোত্তর খোঁজে সচেতন মহল। ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম সত্বেও কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্তা না নেওয়ায় কৌশলে এখনো মাদ্রাসার সম্পদ আত্মসাত করে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ কামাল। তাই তদন্তপূর্বক অধ্যক্ষের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা গ্রহণের দাবী শিক্ষানুরাগী মহলের।  

আরকে//