ঢাকা, বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৪ ১৪৩২

হাসিনা-মোদী বৈঠক

সাত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, ৩ প্রকল্প উদ্বোধন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৬ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৪:৪০ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মংলা ও চটগ্রাম বন্দরের ব্যবহার, ফেনী নদীর সুপেয় পানি সরবরাহসহ ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। একই সঙ্গে ৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ সময় দুই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে খুলনায় অবস্থিত ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ার্সে বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিআইপিএসডি); রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকায় বিবেকানন্দ ভবন উদ্বোধন ও বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি আমদানি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া নরেন্দ্র মোদী জানান, প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক বাকি বিশ্বের জন্য উদাহরণ।

উদ্বোধনী বক্তেব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ভারতে আমন্ত্রণের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান।  এর আগে শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউসে পৌঁছালে প্রধান ফটকে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদী।

এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ একান্তে কথা বলেন। দুই নেতার এই বৈঠকে আঞ্চলিক এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় যেমন- রোহিঙ্গা ইস্যু, দুই দেশের মধ্যকার অভিন্ন নদীগুলোসহ তিস্তার পানি বন্টন, নিরাপত্তা, ব্যবসা-বাণিজ্যের ভারসাম্য এবং লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।

বিকেলে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল তাজমহলে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার’ দেবে এশিয়াটিক সোসাইটি। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সরকারি সফরে গত মঙ্গলবার নয়া দিল্লি এসেছেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটাই তাঁর প্রথম দিল্লি সফর। তিনি ২০১৭ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ নয়া দিল্লি সফর করেন। আগামীকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।