ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের লিড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০০ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৭:১৩ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্টে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়েছেন মুমিনুল হক। অধিনায়কের ওই অনবদ্য শতকে ১৫ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় দিন শেষে দলের স্কোর ৬ উইকেটে ২৮৬ রান।

১১৭ রান করে আউট হন মুমিনুল। তার ১৯০ বলের ইনিংসে ছিল ১৫টি চার ও ১টি ছক্কার মার। শুরুতে ওয়ানডে মেজাজে খেললেও অর্ধ-শতকের পর খেলছেন ম্যাচের মেজাজ বুঝেই। মুমিনুলের আউটের সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন এনামুল হক বিজয়। ১৭ বলের মোকাবেলায় তিনি করেন মাত্র ৮ রান। যাতে ২৭০ রানের ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। 

পরে নুরুল হাসান (৩৫) ও মেহেদী মিরাজের (৬) ব্যাটে দিনের শেষভাগটা ভালভাবেই কাটিয়ে দেয় টাইগাররা।

শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণির সামনে অসহায় শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম ইনিংসকে বড় করতে পারেনি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই গুটিয়ে যাওয়া স্বাগতিক দল অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে জড়ো করতে পারে মাত্র ২৬৮ রান।

শ্রীলঙ্কা 'এ' দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ 'এ' দলের প্রথম চারদিনের ম্যাচে বল হাতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ফিফটি করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও মিরাজ দাপট। এবার সাত উইকেট পেয়েছেন তরুণ স্পিনিং অলরাউন্ডার। মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে পাঁচ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা 'এ' গুটিয়ে গেছে ২৬৮ রানে। প্রথম দিনে তিন উইকেট পাওয়া মিরাজ আজ দ্বিতীয় দিনে তুলে নিয়েছেন আরও চার উইকেট।

সব মিলিয়ে ৩৭ ওভার বল করে ১৪টি মেডেনে ৮৪ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়তে পেড়েছেন কেবল চারিথ আশালঙ্কা। আগের দিন ১৭ রানে অপরাজিত থাকা আশালাঙ্কা আজ আউট হয়েছেন ৪৪ রানে। পাথুম নিশাঙ্কা ৮৫ ও কামিন্ডু মেন্ডিস করেন ৬২ রান।

 জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৩ রানে দল হারায় ওপেনার জহুরুল ইসলামকে। মাত্র ১ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হয়ে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সাদমান। তবে জহুরুলের মত উইকেটে থিতু হতে ব্যর্থ হন শান্ত‌ও। ব্যক্তিগত ৯ ও দলীয় ২২ রানের মাথায় তাকেও ফেরান ওই সিরাজ।

এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে দেখেশুনে খেলে যান সাদমান। তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ। ১০৪ বলে ৭৭ রান করে সাদমান বিদান নিলে ভাঙে এই জুটি। তাকে সাজঘরে ফেরান প্রবাথ জয়াসুরিয়া। আর দলীয় ২১৫ রানে ৩৬ বলে ২১ রান করা মোহাম্মদ মিঠুনকে আউট করেন আসিথা ফার্নান্দো।

এনএস/