ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে স্বামী ও পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে কিশোরির মামলা 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

সুনামগঞ্জে ৬ বছর ধরে ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী এখনো পুলিশের ধরা ছোয়ার বাহিরে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ বছরের কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে সে ৫ মাসের অন্তসত্তা হয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতে মামলা করেছিলেন। বর্তমানে ঐ কিশোরী এখন ৫ বছরের এক শিশু সন্তানের মা হলেও শিশুটির পিতৃ পরিচয়ের অধিকারের দাবিতে আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।

মামলা ও ঘটনা সুত্রে জানাযায় ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালের ১৫ই মার্চ থেকে শুরু করে ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ইছাঘুরি গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র ঘোষের মেয়ে ১৬ বছরের কিশোরীর সাথে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা জিতেন্দ্র দাসের ছেলে লম্পট শৈলেন দাস(২৮) তাকে একাধিকবার ধর্ষন করে। ঐ মেয়েটির বাবা বাড়িতে না থাকার সুবাদে তাদের বাড়িতে নিয়মিত রাত নেই দিন নেই আসা যাওয়ার এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। যার ফলে মেয়েটি ৫মাসের অন্তসত্বা হয়ে পড়ে।

বিষটি এলাকায় জানাজানি হলে লম্পট শৈলেন দাস ও তার পরিবারের সদস্যরা হিন্দু ধর্মীয় বিধি বিধান মোতাবেক মেয়েটিকে বউ করে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সময় কালক্ষেপন করতে থাকায় এলাকাবাসীর নেতৃবৃন্দদের নিয়ে  বিচার সালিশও করে ছেলের পক্ষের লোকজনের ঘড়িমসি করার কারণে সালিশ বৈঠবের কোন সুফল কিশোরীর পরিবার পায়নি। পরবর্তীতে ধর্ষনকারী শৈলেন মেয়েটিকে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এলাকায় কোন সুষ্ঠুবিচার না পেয়ে ন্য মেয়েটি ২০১৩ সালের  ৮ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ধর্ষনকারী শৈলেন দাসকে ১নং আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ধর্ষনকারী শৈলেন দাস বিদেশে পালিয়ে গিয়ে বেশ কিছুদিন প্রবাসে থাকলেও এখন কিচুদিন ধরে দেশে এসে আত্মগোপনে চলাফেরা করলেও পুলিশ এই ধর্ষনকারীকে গ্রেফতার না করায় কিশোরীর পরিবারের লোকজন আইনের শাসন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন।

বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুনামগঞ্জ সদর থানায় গস্তান্তর করা হয়।  থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গত ২০১৩ সালের মামলাটি ২ই অক্টোবর আমলে নেন। যার আদালতে মামলা নং-(২৫৯/২০১৩ইং)। আদালত ৫ জনকে মামলা থেকে খালাস প্রদান করলেও ধর্ষনকারী ১নং আসামী শৈলেন দাসকে গ্রেফতার করার জন্য ওয়ারেন্ট জারি করেন ১ জানুয়ারি ২০১৪ সালে । ঘটনার প্রায় ৬বছর হলেও এখনো ঐ লম্পট ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 

জানা যায়, আসামী শৈলেন আতœগোপন করে দেশে রয়েছে। অন্য দিকে ৫ মাসের অন্তসত্বা কিশোরীর গর্ভের নবজাত শিশু জন্ম গ্রহন করে বর্তমানে ঐ শিশুটির বয়স ৫ বছর। দিন দিন ঐ শিশুটি বড় হচ্ছে স্বামী ও পিতৃ পরিচয় কি হবে সেই চিন্তায় দিন ঘুনছেন কিশোরী ও তার সন্তানটি। 

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুর রহমান জানান আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

আরকে//