ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শ্রীলঙ্কার কাছে বড় হার দেখল পাকিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৩ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১১:৩৭ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

দীর্ঘ ১০ বছর পর নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। এবার শুরু টি-২০ লড়াই। তবে তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রথমটিতে হেরে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা। শনিবার সন্ধ্যার এ ম্যাচে সফরকারী শ্রীলঙ্কার কাছে পাকিস্তান হেরেছে ৬৪ রানের বড় ব্যবধানে। 

এদিন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দানুশকা গুনাথিলাকার ঝড়ো ৫৭ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৭.৪ ওভারে ১০১ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। 

এর আগে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে লঙ্কানদের আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
 
ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে আভিসকা ফার্নান্ডোকে সঙ্গে নিয়ে পাক বোলারদের তুলোধুনো করে ৯.৪ ওভারে ৮৪ রানের জুটি গড়েন দানুশকা গুনাথিলাকা। আভিস্কা উইকেটের এক পাশ আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান গুনাথিলাকা। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৭তম ম্যাচে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন বাঁহাতি ওপেনার। 
 
শাদাব খানের লেগ স্পিনে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৫৭ রান করে ফেরেন গুনাথিলাকা। আর ৩৪ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন ফার্নান্ডো। এছাড়া ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামা ভানুকা রাজাপকাশের ২২ বলে ৩২ ও দাসুন শানাকার ১০ বলে ১৭ রানের স্বভাবসুলভ ইনিংসের উপর ভর করে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা।

পাকিস্তানী বোলারদের মধ্যে বিশ্ব রেকর্ড করা তরুণ হ্যাটট্রিক ম্যান মোহাম্মদ হাসনাইন ৩টি ও শাদাব খান একটি উইকেট শিকার করেন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ব্যর্থ হন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আহমেদ শেহজাদ ও উমর আকমল। দলীয় ১৩ রানে বাবর আজম  ব্যক্তিগত ১৩ রান করে আউট হলেও দায়িত্ব নিতে পারেননি ওই দু'জন। সাজঘরে ফেরেন যথাক্রমে ৪ ও শুন্য (০) রানে। ফলে দলীয় ২২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে স্বাগতিকরা। 

তবে ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে অধিনায়ক সরফরাজের ৪৬ রানের জুটিতে ওই বিপর্জয় সামাল দেয় পাকিস্তান। এসময় একটি কুইক রান নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন ২৪ বলে ২৫ করা ইফতেখার। জয়ের জন্য তখন পাকিস্তানের দরকার ছিল ৫১ বলে ৯৮ রান।  

কিন্তু পাক ক্যাপ্টেন দ্রুত ক্রিজ ছাড়লে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে স্বাগতিকরা। লঙ্কান বোলারদের চেপে ধরা সাড়াশি থেকে বের হতে না পারায় সেই শঙ্কায় সত্যি হয়। ১৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় সরফরাজ বাহিনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রানই আসে ওই ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকেই। এছাড়া ইফতেখারের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের এমন দৈন্য ব্যাটিংয়েই পরাজয় দেখে পাকিস্তান। 

অন্যদিকে ওয়ানডেতে হারলেও প্রথম ম্যাচে বড় জয় নিয়ে প্রতিশোধের মিশনে এগিয়ে গেল দাসুন শানাকার দল। এদিন দলের জয়ে অনন্য ভূমিকা রাখা ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা হন ম্যাচ সেরা। 

তবে বোলিংয়ে জয়ের কাজকে সহজ করে দেন দুই লঙ্কান পেসার নুয়ান প্রদীপ ও ইসুরু উদানা। দুজনেই নেন তিনটি করে উইকেট যথাক্রমে ২১ ও ১১ রান দিয়ে। এছাড়া ২০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন হাসারাঙ্গা ডি সিলভা।

এনএস/