ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

বাউফলে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

পটুয়াখালীর বাউফলে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে বাজেমহল ওবায়দিয়া ফাজিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
স্থানীয়দের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় হস্তান্তরের আগেই ভবনের ছাদ চুইয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি।প্যাটার্ন স্টোন ঢালাই দেয়া হয়নি ছাদে। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের বাথরুম ফিটিংস।দরজাগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের কাঠ।ফলে, প্রশ্ন উঠেছে ওই ভবনের স্থায়ীত্বকাল নিয়ে।
 
সরেজমিন ঘুরে তিনতলা ওই ভবনের কলাম চুইয়ে বৃষ্টির পানি নিচ তলায় গড়াতে দেখা গেছে।একই অবস্থা ভবনটির তিন তলার দুই স্থানে। এছাড়া, ডেকরেশনে ব্যবহার করা হয়নি কার্যাদেশে উল্লেখিত ফিটিংস কিংবা রং। দরজা জানালায় ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের কাঠ।
 
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকর্তাদের যথাযথ তদারকি না থাকার কারণেই এমন উপকরণ ব্যবহার করেও তৈরি করা সম্ভব হয়েছে ওই ভবনটি।
 
২ কোটি ১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত ভবনটির কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে পল্লী স্টোর এন্ড রেজওয়ানুল মাকসুদ নামে জয়েন্ট ভোর এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। 

বাজেমহল ওবায়দিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘ভবনটি নির্মাণে বেশকিছু স্থানে সমস্যা দৃশ্যমান আছে। আমরা সেগুলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে বলেছি। তাছাড়া নির্মাণে কি কি উপকরণ ব্যবহার করা হবে সেই কাগজপত্র না দেখায় আরো কোনো অনিয়ম হয়েছে কি-না আমরা তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।’ 
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদারককারী মো. শাজাহান বলেন, ‘অফিস যেভাবে বলছে সেভাবেই কাজ করা হয়েছে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুষ চন্দ্র দে বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানকে এখনো বিল দেওয়া হয়নি। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আই/কেআই