ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বুয়েট শিক্ষার্থীর হত্যার ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৬ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৮:৫২ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকান্ডের পর থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সকাল থেকেই গায়েব ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের নেতাদের যোগসাজশে ফুটেজ গায়েবের অভিযোগ করেন আবরারের সহপাঠীরা। তবে দিনভর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর অবশেষে তা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। 

ভিডিওটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই নিজের ফেইসবুক ওয়ালে ভিডিওটি শেয়ার করে এই হত্যার বিচার দাবি করেন। এখন ফেইসবুকে ঢুকলেই এই ভিডিও টি চোখে পড়বে।

এই সিসিটিভি ওই ফুটেজে দেখা মেলে আবরারকে হত্যার ভয়াবহ চিত্র। এতে দেখা যায়, কয়েকজন আবরারকে মারার পর নিয়ে যাচ্ছে। আজ দিনভর যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সাতজনেরই উপস্থিতি মিলেছে ওই সিসিটিভি ফুটেজে। 

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদকে  হল থেকে ডেকে নিয়ে যায় একজন শিক্ষার্থী। পরে রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয়তলার সিঁড়িতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার শরীরে পিটিয়ে হত্যার চিহ্ন রয়েছে। এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।’

আর এই ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে মারধর করে ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের ৯ জন নেতাকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের পদে আছেন। সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় এই আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শনাক্ত ৯ জনকে আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছি। সেটা পর্যালোচনা করছি।’

আটকরা হলো- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, সহসম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপদফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, উপসমাজ কল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপআইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক সেফায়েতুল ইসলাম জিওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থ ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্সি। 


 টিআর/