ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

পাকিস্তানকে উড়িয়ে শ্রীলঙ্কার সিরিজ জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৮ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে লঙ্কানদের কাছে হেরে গেল পাকিস্তান। সোমবার লাহোরে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পাকিস্তান হেরেছে ৩৫ রানে। যে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেতে নেমে রাজাপাকশের ফিফটিতে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় লঙ্কনরা। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেমে ১৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।

সোমবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানেই উইকেট হারায় সফরকারী দল। ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচের নায়ক দানুশকা গুনাথিলাকা। ১০ বলে তিন বাউণ্ডারিতে ১৫ রান করেন তিনি। 

এরপর রান আউটে কাটা পড়েন আরেক ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্ডো। শাদাব খানের থ্রোতে মাত্র ৮ রানে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ফলে ৪১ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। 

এরপরের গল্প শুধুই ভানুকা রাজাপাকশের। লাহোরে এদিন ব্যাটহাতে পাকিস্তানি বোলারদের ওপর রীতিমত রাজত্ব করেন লঙ্কান এই টপ অর্ডার। ৩১ বলে চার ছক্কা ও দুই চার মেরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম ফিফটি পেয়ে যায় ভানুকা। ঝড় তুলে ইনিংসের ১৭তম ওভারে শাদাব খানের বলে যখন আউট হন, ভানুকার নামের পাশে তখন মূল্যবান ৭৭ রান। তার ৪৮ বলের এই ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ছয়টি ছক্কা ও চারটি চারের মার। 

এর আগে আসিফ আলির ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউটে কাটা পড়েন আরও এক লঙ্কান। তিনি হলেন শেহান জয়সুরিয়া, ২৮ বলে চারটি চার মেরে ৩৪ রান নিয়ে ফেরেন তিনি। ১৬তম ওভারে তার আউটের মধ্য দিয়েই মূলত খেলায় ফেরে পাকিস্তান। কেননা, এরপরের তিন ওভারেই শ্রীলঙ্কার চারটি উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিক বোলার-ফিল্ডাররা। যাতে ১৩৪/২ থেকে মুহুর্তেই লঙ্কানদের স্কোর হয়ে যায় ১৫৫/৬। 

তবে শেষ দিকে দলীয় অধিনায়ক দাসুন শানাকার দৃঢ়তায় আগের ম্যাচের চেয়েও চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাড় করায় শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৮২ তে। ১৫ বলে এক ছয় ও তিন চারে ২৭ রানের ঝড় তুলে অপরাজিত থাকেন শানাকা।

পাকিস্তানের পক্ষে আগের ম্যাচে তরুণ পেসার হাসনাইন হ্যাটট্রিক করলেও আজ ছিলেন সবাই নিষ্প্রভ। ফিল্ডাররা তিনটি রান আউট ঘাটালে ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান ও ওয়াহাব রিয়াজ একটি করে উইকেট পান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফখর জামানকে হারিয়ে হোঁচট খাই পাকিস্তান। যেখান থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। এক হাসারাঙ্গা ডি সিলভার লেগ স্পিনেই মেরুদণ্ড ভেঙে যায় দলটির। যাতে অষ্টম ওভারেই ৫ উইকেট হাওয়া হয়ে যায়, মাত্র ৫২ রানেই। 

অলরাউণ্ডার ইমাদ ওয়াসিম সেখান থেকে বেশ কয়েকটি বাউণ্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দিলেও তা ধোপে টেকেনি। লঙ্কান বোলারদের চমক লাগানো বোলিংয়ে এক ওভার আগেই ১৪৭ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। যেখানে আটটি চার হাঁকিয়ে ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে ইমাদের ব্যাট থেকে। এছাড়া আসিফ আলীর ২৯ ও সরফরাজের ২৬ রানই উল্লেখযোগ্য। তিন বছর পর দলে সুযোগ পাওয়া উমর আকমল ডাক মারেন এদিনও। 

এদিকে পাক ব্যাটসম্যানদের পাঁচজনকেই বোল্ড করেন লঙ্কান বোলাররা, আর দুজন হন লেগ বিফোরের শিকার। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট দখল করেন পেসার নুয়ান প্রদীপ, আর ডি সিলভা নেন তিনটি উইকেট। বাকি তিনটির মধ্যে উদানা দুটি এবং রজিথা নেন একটি উইকেট। যাতে ৩৫ রানে জয়ের পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিল শ্রীলঙ্কা। আর জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ম্যাচ সেরা হন ৪৮ বলে ৭৭ রান করা ভানুকা রাজাপাকশে।

এনএস/