ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

মোংলা বন্দরে স্বামী-স্ত্রীর অবৈধ নিয়োগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১৮ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

ইবনে হাসান এবং তার স্ত্রী কানিজ হাসান।এই দম্পত্তি চাকরি করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে। ইবনে হাসান বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের রাজস্ব শাখার সিনিয়র আউটডোর এ্যাসিন্টেট ও তার স্ত্রী কানিজ আছেন প্রশাসন বিভাগে। ২০১৩ সালে তারা বন্দরের এই দুই বিভাগে চাকরি নেন। তবে তাদের দু'জনেরই নিয়োগ অবৈধ বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যারা তাদের নিয়োগ পাইয়ে দেন তাদের ভাষ্য,“নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের বিষয়টি মিথ্যা। অবৈধ নিযোগের বিষয়ে বন্দরের নিয়োগ কমিটি দায়ী। ওই সময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক প্রশাসন হাওলাদার জাকির হোসেন, সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন ভূইয়া এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের একজন প্রতিনিধি নিয়োগ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) সভাপতি মো. সাইজ উদ্দিন মিঞা বলেছেন এ কথা। তিনি বলেন, ইবনে হাসানের মতো অনেকেরই অবৈধ নিয়োগ হয়েছে।এজন্য নিয়োগ কমিটি দায়ী, আমাদের কোন দায় নেই। 

বন্দরের একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ওই দু’জন চাকরিতে নিয়োগ পেয়ে এরই মধ্যে অবৈধভাবে পদন্নোতি পেয়েছেন।এ নিয়ে বন্দর পাড়ায় বেশ আলোচনা সমালোচনা হলেও কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চুপ থাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে, হাসান ও কানিজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তারা বলেন, এই দু’জন ২০১৩ সালে চাকরিতে যোগদান করেন।প্রথমে তারা জেলা কোটা ঢুকেছে বলে শোনা যাচ্ছিল। তবে ওই সময় তাদের জেলা কোটা(গোপালগঞ্জ ও নড়াইল) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল না। অবৈধভাবে তারা নিয়োগ নিয়েছেন।এনিয়ে জানাজানি হলে এই দম্পত্তি চাকরি রক্ষার্থে পোষ্য কোটায় (পিতা মাতার উত্তরাধিকারি)ঢুকেছেন বলে প্রপাগন্ডা চালিয়ে নিজেদের জাহির করেন। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তারা চাকরি করে আসছেন,এরই মধ্যে পেয়েছেন পদন্নোতি। 

এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, “আমি তিন মাস হয়েছে এখানে এসেছি, ভালো বলতে পারবো না। তবে ইবনে হাসান এবং কানিজ হাসানের নিয়োগ অবৈধের প্রমাণ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া বলে জানান তিনি”। 

এ বিষেয়ে ইবনে হাসানের বিভাগীয় প্রধান পরিচালক (ট্রাফিক)মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ইবনে হাসানের ব্যাপারে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) তদন্ত করছেন। 

এদিকে ইবনে হাসানের সাথে এ ব্যপারে কথা বলতে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।এরপর আবারও তাকে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওদিকে তার স্ত্রী কানিজ হাসানকেও ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভই করেননি।
কেআই/