ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আবরার হত্যায় জড়িতদের নামসহ পুরো ভিডিও প্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শেরেবাংলা হলের সিসিটিভি ক্যামেরার ১৫ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে ভিডিও ফুটেজটি তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে শেয়ার করেন। মুহূর্তেই ভিড়িও ভাইরাল হয়ে যায়। 

এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে এই ভিডিওটি তারা সংগ্রহ করেছিলেন।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের কর্মীরা রাত ৮ টা ১২ মিনিটের দিকে রুম থেকে ডেকে দোতলায় নিয়ে যায়। এরপর রাত ১ টা ১৪ মিনিটে দোতলার ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে কয়েকজন তাকে বের করে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। 

এর এক ঘণ্টা পর রাত ২ টার দিকে তাকে ২০০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তোষকের মধ্যে নিয়ে নিচতলায় নামানো হয়। সিঁড়িতে তাকে কিছুক্ষণ ফেলে রেখে পরবর্তীতে একটি স্ট্রেচারে তোলা হয়। এরপর চিকিৎসক আসেন। কিছুক্ষণ পর হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক আসেন। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেলকে কথা বলতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। 

ভিডিওটি দেখুন:-