ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ৪ ১৪৩০

গেস্টরুমে ভাল কিছু শেখানো হয়, নির্যাতন হয় না: ছাত্রলীগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের কোনো নির্যাতন করা হয় না, বরং ভালো কিছু শেখানো হয় বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গৃহীত ব্যবস্থার পর্যালোচনা এবং হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এদাবি করেন।

লেখক ভট্টাচার্য, গেস্টরুম ভালো সংস্কৃতি। এখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনেক নিয়ম-কানুন শেখানো হয়। ছাত্রলীগ এটাকে পজিটিভ হিসেবেই দেখছে। গেস্টরুমে নেগেটিভ কিছু অত্যন্ত কম হয়। ভালো কিছু শেখানো হয়।

ছাত্রলীগ কোনো অন্যায় অপকর্মে প্রশ্রয় ও উৎসাহ দেয় না, দেবে না উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আবরার হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। সাংগঠনিকভাবে তাদের ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এর বাইরে আর কারো সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদেরও যেন খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, বাঁশ বা স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানো হয়ে থাকতে পারে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে। এর ফলেই রক্তক্ষরণ বা পেইনের (ব্যথা) কারণে ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, ফাহাদের হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। আঘাতের ধরন দেখে মনে হয়েছে ভোঁতা কোনো জিনিস যেমন- বাঁশ বা স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তবে তার মাথায় কোনো আঘাত নেই। কপালে ছোট একটি কাটা চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

 

টিআর/